প্রশ্নবিদ্ধ সেই সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিল বিসিবি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) গত শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ব্যাটার জাকের আলী অনিক। এই আউটের পর হতাশা প্রকাশ করেন কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ট্রল হয় অনেক। অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ১১টার কিছুক্ষণ পর সেই আউট নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাকেরের সেই আউট বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী হয়েছে বলেই নিশ্চিত করে তারা।

আগে ব্যাটিং করে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ৪৫ বলে অপরাজিত ৮১ রানে ভর করে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে বরিশাল। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাকের আলী অনিকের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ১৪তম ওভারে ইফতিখার আহমেদের বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হন জাকের। শুন্য রানে আউট হওয়া জাকের অবশ্য রিভিউ নেন। কিন্তু এডিআরএসে দেখা যায় বল পিচ হয়েছে লেগ স্টাম্পেরও বাইরে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী এটা অবশ্যই আউট। কিন্তু থার্ড তৃতীয় আম্পায়ার বহাল রাখেন অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত! মাঠ ছাড়তে হয় জাকেরকে। পরে রাত ১১টা ২০ মিনিটে মেইলযোগে বিসিবি জানায়, বিপিএলের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।

এই প্লেয়িং কন্ডিশনে দেখা যায়, পরিশিষ্ট ডি১-এর ৬.৪.৩.৩ ধারা অনুযায়ী, বলের কোনো অংশ স্টাম্প লাইন স্পর্শ করলেই তাকে ‘ইন লাইন’ বলে ধরে নেওয়া হবে। প্লেয়িং কন্ডিশনের কোনো অনুলিপি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া হয়নি এবার। খোঁজ নিয়ে জানা যায় দলগুলোর কোচ বা টিম ম্যানেজমেন্টও পাননি এর কোনো অনুলিপি।

জাকেরের উইকেটের মাশুল ভালোভাবেই দিতে হয়েছে কুমিল্লাকে। সেই উইকেটের মধ্যে দিয়ে একশ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় কুমিল্লা। অথচ এরপরই খুশদিল শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন মিলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন। মোসাদ্দেক করেন ১৯ বলে ২৭। খুশদিল অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৪৩ রান করে। শেষ পর্যন্ত লড়াই করেও ১২ রানে হারে কুমিল্লা। আসরে এদের টানা তৃতীয় হার। এই আসরে এখনও জয়ের মুখ না দেখা কুমিল্লা বিপিএল পয়েন্ট তালিকার একবারেই তলানিতে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.