ফখরের সেঞ্চুরি ম্লান করে নিউজিল্যান্ডকে জয়

তিন ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। করাচিতে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না পাকিস্তানের। তারা শুরুর ৭ ওভারেই উইকেট উইকেট হারায়। এর মধ্যে অধিনায়ক বাবর আজমের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি রয়েছে। তিনি মাত্র ৪ রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে স্টাম্পিং হয়েছেন। রানের খাতা খুলতে পারেননি দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে খেলতে নামা শান মাসুদ।

যদিও তৃতীয় উইকেটে ফখর ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৫৩ রানের জুটি পাকিস্তানের স্কোরটাকে ২৮০ পর্যন্ত নিয়ে যায়। ১২০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ফখর। আর রিজওয়ান ৭৪ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। এই দুজন আউট হলে একটু বিপদেই পড়েছিল পাকিস্তান। খানিক বাদে রান আউট হয়েছিলেন হারিস সোহেল। লকি ফার্গুসনের বাউন্সার হেলমেটে আঘাত হেনেছিল হারিসের। তিনি এরপর আর ফিল্ডিং করতে পারেননি। তার বিকল্প হিসেবে কনকাশন সাব করা হয় কামরান গুলহামকে। শেষ দিকে সালমান আঘার ৪৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে পাকিস্তান।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন টিম সাউদি। ২টি উইকেট পেয়েছেন লকি ফার্গুসন। একটি করে উইকেট গেছে ব্রেসওয়েল ও ইস সোধির ঝুলিতে।

বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে স্বস্তির শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ডেভন কনওয়ে। দুজনে যোগ করেন ৪৩ রান। অ্যালেন ২৫ রানে রান আউট হলেও কনওয়ে ও উইলিয়ামসন মিলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৫২ রানে ফিরেছেন কনওয়ে। ৫৩ রান করে রান আউট হয়েছেন উইলিয়ামসন। এরপর ড্যারিল মিচেল দেখে শুনে খেললেও অন্যপ্রান্ত নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে নিউজিল্যান্ড। শেষদিকে এসে গ্লেন ফিলিপস ৪২ বলে ৬৩ রান করে নিউজিল্যান্ডকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।

মিচেল স্যান্টনারও তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন ১৭ বলে ১৫ রান করে। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে ওয়াসিম জুনিয়র ও সালমান নেন ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ নাওয়াজ ও উসামা মীর।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.