কুমিল্লার লড়াকু পুঁজি

চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথম দুইদিন দিনের খেলায় শুরুতে ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে বড় রান তুলতে পারেনি। তবে তৃতীয়দিন এসে প্রথম ম্যাচে ১৫০’র কাছাকাছি পুঁজি পেয়েছে প্রথমে ব্যাট করা দল। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৪৯ রান স্কোবোর্ডে তুলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

এদিন টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সিলেট। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি কুমিল্লার। স্কোরবোর্ডে ৯ রান তুলতেই প্রথম ওভারে লিটন দাসকে হারিয়ে বসে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৮ রান করে লিটন ফিরলেও তিনে নামা সৈকত আলির সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডেভিড মালান।

এই জুটিতে স্কোরবোর্ডে আরও ২৬ রান যোগ করে কুমিল্লা। যার মধ্যে ২০ রানই ছিল সৈকতের। তবে দলীয় ৩৭ রানে ১২ বলে ২০ রান করে ইমাদ ওয়াসিমের শিকার হন তিনি। সৈকতের বিদায়ে ক্রিজে নেমে ২ রানের বেশি করতে পারেননি দলপতি ইমরুল কায়েস। ২ রান করে তিনি ফেরেন মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে। তবে পাওয়ার প্লে’তে ৩ উইকেট হারালেও মালান ও জাকের আলি মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। মালান ধীরগতিতে খেললেও জাকের হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। তবে দলকে ১০০’র কাছে নিয়ে গিয়ে ৩৯ বলে ৩৭ রানে ফেরেন মালান।

পেরেরার শিকার হয়ে তিনি ফিরলেও জাকের ও মোসাদ্দেক মিলে রান বাড়াতে থাকেন। জাকের আক্রমণাত্মক খেললেও ৬ বলে ৫ করে ফেরেন মোসাদ্দেক। এর মাঝে ৩৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করে দলকে ১৫০’র পথে নিয়ে যেতে থাকেন জাকের। তবে শেষ ওভারে এসে মাশরাফির ইয়র্কারে বোল্ড হন মোহাম্মদ নবি। ৮ বলে ৭ রান করে ফেরেন তিনি। সেই ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে দেড়শোর কাছে নিয়ে যান আবু হায়দার। শেষ বলে এক নিয়ে দলীয় রান ১৪৯ এ নিয়ে থামান হায়দার। ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন আমির, মাশরাফি এক উইকেট নিতে খরচ করেন ৩৩ রান।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.