ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট প্যালেস ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস এবং সুপ্রিম কোর্টে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় যখন এ হামলা হয়, প্রেসিডেন্ট লুলা সেখানে ছিলেন না। রাজধানী থেকে দূরে কর্মসূত্রেই সাও পাওলো গিয়েছিলেন তিনি।

রোববার (৮ জানুয়ারি) দেশটির সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ও কট্টরপন্থি নেতা জাইর বলসোনারোর সমর্থকরা এই হামলা করেন। সোমবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ব্রাজিলের এই ঘটনায় দুই বছর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মার্কিন ক্যাপিটল আক্রমণের বিষয়টি বেশ তীব্রভাবে প্রতিধ্বনিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের বর্তমান বামপন্থি প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা গত বছরের অক্টোবরের নির্বাচনে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে পরাজিত করেছিলেন। রোববার বলসোনারো সমর্থকদের হামলার পর তিনি রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ফেডারেল নিরাপত্তা হস্তক্ষেপ ঘোষণা করেছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, ক্ষমতার লড়াই ঘিরে রোববার যেন বিক্ষোভের আগুনে বিস্ফোরিত হয় ব্রাজিল। আর এতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সমর্থকরা হামলা চালায় দেশটির কংগ্রেস, প্রেসিডেন্ট প্যালেস ও সুপ্রিম কোর্টে।

দেশটির রাজধানীর ব্রাসিলিয়ার গভর্নর ইবানেস রোচা টুইটারে লিখেছেন, ইতোমধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িত ৪০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এমন অপরাধের জন্য তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। আমরা এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী অন্যদের চিহ্নিত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। একইসঙ্গে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

চরম ডানপন্থি এসব সমর্থকরা রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে একের পর এক জায়গায় হামলা চালায়। বিরোধী দলের এই হামলার তীব্র সমালোচনা করে একে ‘ফ্যাসিস্ট’ হামলা বলে আখ্যা দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ব্রাজিলের হলুদ, সবুজ পতাকা নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে এগোচ্ছেন। কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে তারা ঢুকে যাচ্ছেন ভবনের ভেতর। কাতারে কাতারে মানুষ জড়ো হয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভবনের ছাদে।

অর্থসূচক /এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.