বিদেশিরা নির্বাচন নিয়ে কি ভাবছে এটা বিষয় না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই বিদেশিরা কী ভাবছে এটা বিষয় না। নির্বাচন নিয়ে তাদেরকে আশ্বস্ত করার কোনো দরকার নেই।

তিনি বলেন, দুনিয়ার সব দেশে নির্বাচনের গল্প শুরু হয় দু’মাস আগে। আর বাংলাদেশে এক বছর আগেই হৈ চৈ শুরু করে দেয়। নির্বাচন নির্বাচনের নিয়মে, যথাসময়ে ও সুষ্ঠুভাবে হবে। এখানে সব দল অংশ নিলে ভালো হবে। কেউ না আসতে চাইলে না আসবে।

আজ সোমবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে ড. মোমেন এসব কথা বলেন।

দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বানোয়াট তথ্য দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতদের ইতিমধ্যে তাগিদ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশে নিযুক্ত মিশনপ্রধানরা যাতে ঢাকা থেকে নির্দেশনার অপেক্ষায় না থাকেন এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করলে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন তারা।

দেশের বাইরে থেকে সংঘটিত ভালো-মন্দ সব তথ্যই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানোর জন্য রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান জানানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, খারাপ কিছু হলে রাষ্ট্রদূতরা জানাতে চান না। সব মিশন মন্ত্রণালয়ের অংশ। তাই রাষ্ট্রদূতদের দায়িত্ব নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার রোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি সংশ্লিষ্ট দেশে প্রকৃত তথ্য ও ঘটনা তুলে ধরবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কয়েকটা পাগল বলল ১০ ডিসেম্বরের পর নতুন সরকার হবে। পাগল ছাড়া এটা কেউ বিশ্বাস করে নাই। বাংলাদেশের মানুষ বোকা না। বর্তমান সরকারের জনগণের ওপর বিশ্বাস আছে।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সীমান্তে একজনও যাতে না নিহত হয় আমরা সে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের কোনো ব্যর্থতাও নয়। কেন নিহত হলো সেটিও দেখতে হবে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.