সুচির আরও ৭ বছরের কারাদণ্ড

পাঁচটি দুর্নীতির অভিযোগে সু চিকে আরও সাত বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলো সামরিক আদালত। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করা, করোনার বিধিভঙ্গ করা-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ আনা হয়েছিল। এর আগেও একাধিক মামলায় তার কারাদণ্ডের নির্দেশ হয়েছে। এবারও হলো। সবমিলিয়ে সু চি-র ৩৩ বছরের কারাদণ্ড হলো।

আদালতে রুদ্ধদ্বার শুনানি হয়েছে। আইনজীবীদেরও বলে দেয়া হয়েছিল, তারা বাইরে কোনো কিছু বলতে পারবেন না। এই বিচার নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন না।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারান সু চি। তারপরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আনা হয়। সমালোচকদের দাবি, এইসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া সু চি-র বিরুদ্ধে অভিয়োগ করা হয়েছিল, তিনি সরকারি ওয়াকি টকি নিজের কাছে রেখেছেন, সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করেছেন, কোভিড কড়াকড়ি মানেননি। সু চি এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারবেন।

সু চি-কে বর্তমানে আদালতের কাছেই একটি জেলে রাখা হয়েছে। তার জন্য আলাদাভাবে একটা জায়গা তৈরি করে দেয়া হয়েছে।

২০২১ সালের জুলাইতে সামরিক শাসকরা ঘোষণা করে, ২০২০ সালের ভোটের ফল অবৈধ। কারণ, তাতে প্রচুর জালিয়াতি হয়েছিল। স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা অবশ্য এই দাবি মানতে চাননি।

সু চি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টের বিরুদ্ধে অভিয়োগ করা হয়, তারা নির্বাচনের আগে ইলেকটোরাল কমিশনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে আদালত জানায়, তাদের বিরুদ্ধে অভিয়োগ প্রমাণিত হয়েছে এবং তাদের তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।

১৯৮৯ থেকে ২০১০ পর্যন্ত সু চি রাজনৈতিক বন্দি ছিলেন। তাকে ১৫ বছর গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। অহিংস পথে তিনি যেভাবে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন, তার জন্য তাকে ১৯৯১ সালে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এেফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.