প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাইকোর্টের রুল

কোটার ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোটা প্রথা কেন বাতিল করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। এ ছাড়াও রিটকারীদের মেধার ভিত্তিতে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না, তা জানতেও রুল জারি করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, শিক্ষা সচিব ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শামীম সরদার। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ দেশের বিভিন্ন জেলার ১৫২ জন চাকরিপ্রার্থী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটে প্রাথমিক শিক্ষক বিধিমালায় কোটার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ না দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.