‘৩৬০ ডিগ্রি’ ক্রিকেটার হওয়ার গল্প জানালেন সূর্য

উইকেটের গিয়ে প্রথম বল থেকেই শট খেলতে পারেন, স্পিনার কিংবা পেসার যেকোনো বোলারের বিপক্ষেই সাবলীল ব্যাটিং করেন, লেগ স্ট্যাম্পের দিকে সরে এসে জায়গা করে নিয়ে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানো কিংবা ল্যাপ শট সবই স্বাছন্দ্যে খেলেন সূর্যকুমার যাদব।

একজন দক্ষ মিডল অর্ডার ব্যাটারের মধ্যে যা যা থাকা প্রয়োজন তার প্রায় সব গুণই আছে সূর্যকুমারের। মূলত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে লাইম লাইটে আসেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পরই জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় তার জন্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়ে তা দুই হাত ভরে কাজে লাগিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। সাদা বলের ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়েও শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন তিনি। উইকেটের চার পাশে শট খেলতে পারার দক্ষতা তার এমন সফলতার অন্যতম কারণ। একই কারণে তাকে বলা হয় ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার।

৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার হয়ে ওঠার পেছনের গল্প জানিয়েছেন সূর্য নিজেই। তিনি বলেন, ‘এটা একটা মজার গল্প। আমার স্কুল এবং কলেজের দিনগুলোতে, আমি প্রচুর রাবার বল ক্রিকেট খেলেছি। সেই সময়ে বৃষ্টির দিনে সিমেন্টের শক্ত পিচে খেলতাম। ১৫ গজ দূর থেকে বেশিরভাগ বোলাররাই চাক করতো। এসব মাঠে লেগের দিকের বাউন্ডারি থাকতো ৯৫ গজের, অন্যদিকে অফের দিকের বাউন্ডারি থাকতো ২৫-৩০ গজ। অফের দিকের বাউন্ডারি আটকানোর জন্য বেশিরভাগ বোলাররাই শরীর বরাবর বোলিং করতো। তাই আমার কব্জি চালনা করা, পিক-আপ পুল করা কিংবা আপার কাট খেলা সেই ম্যাচগুলো থেকেই এসেছে।’

ম্যাচে উইকেটের চারপাশে শট খেললেও নেটে খুব একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন না সূর্যকুমার। তিনি মূলত স্বাভাবিকভাবেই অনুশীলন করতে পছন্দ করেন। ভারতের এই টপ অর্ডার ব্যাটার বলেন, ‘আমি নেটে কখনো এই ধরনের শটের অনুশীলন করি না। আমি স্বাভাবিকভাবে অনুশীলন করতেই পছন্দ করি। শট খেলার পর ব্যাটের শব্দ শোনে যদি আমার ভালো লাগে তাহলে সেটা খেলার চেষ্টা করি।’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এসে প্রতিপক্ষকে যেন নিজের তাপে পুড়াচ্ছেন সূর্য! চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে বেশ ধারবাহিক তার ব্যাট। ইতোমধ্যেই এক পঞ্জিকা বর্ষে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। সেটাও আবার দেড়শোর বেশি স্ট্রাইকরেটে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে ২৩৯ রান করেছেন তিনি। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাইকরেটে বেশ এগিয়ে ছিলেন তিনি। আসরে স্ট্রাইকরেটের বিচারে তার ধারে-কাছেও ছিলো না আর কেউ। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে তিনি ব্যাটিং করেছেন প্রায় ১৯০ স্ট্রাইকরেটে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.