হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ও নজরদারির পরিমাণ বাড়িয়েছে ভারত। স্থলসীমান্তে অতিরিক্ত নিরাপত্তাচৌকি, অরক্ষিত সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ছাড়াও নৌসীমান্তে বিএসএফের সদস্য বাড়িয়েছে দেশটির প্রশাসন। পুরুষ সদস্যদের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফের নারী সদস্য। কড়া নজরদারিতে রয়েছে সুন্দরবন অংশও।
বাংলাদেশ এবং ভারতের মাঝে সীমান্ত রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সঙ্গে ২ হাজার ২১৭ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই সীমান্তের মধ্যে রয়েছে বঙ্গোপসাগর, আছে নদীও। কাঁটাতারের বেড়াহীন অরক্ষিত সীমান্ত প্রতিবেশী দুই দেশের ‘সীমান্ত নিরাপত্তায়’ বড়সড় ঝুঁকির কারণও।
প্রায় ২৫৮ কিলোমিটার এলাকায় নেই কোনো ধরনের কাঁটাতারের বেড়া। সম্প্রতি ১৮৭ কিলোমিটার অরক্ষিত সীমান্তে বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। নিজ দেশের নাগরিকদের সুরক্ষায় নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে ৭২টি নিরাপত্তাচৌকি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে মোদি প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যসরকারের কাছে জমিও চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এর মধ্যেই বাংলাদেশের নৌসীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে বিএসএফের নারী সদস্য। এতদিন স্থলসীমান্তে নারী বাহিনী মোতায়েন করা হলেও প্রথমবারের মতো নৌসীমান্তের নিরাপত্তা ও নজরদারির দায়িত্ব পেল তারা।
জানা গেছে, গভীর সমুদ্রের সীমান্তে কিংবা সুন্দরবন সীমান্তে পাচার এবং জলদস্যুদের রুখতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে নৌপথে বিএসএফের নারী বাহিনী ২৪ ঘণ্টা টহল দেবে।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ধারণা করা হচ্ছে, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শেষ হলে সিসি ক্যামেরার কাজও শুরু করবে বিএসএফ।



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.