২ ‘শ্রী’ ছন্দে ফিরিয়েছেন মুস্তাফিজকে

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফর্মার ছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়েও প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে তার। যদিও এর আগে নিজেকে প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলেন এই বাঁহাতি পেসার। তার বোলিংয়ের পুরোনো ধাঁর ফিরে পেতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন ভারতীয় কোচ শ্রীধরন শ্রীরাম ও কম্পিউটার অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন। এই দুজনের প্রচেষ্টাতেই আবারও আগের রূপে ফিরেছেন মুস্তাফিজ।

ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড মুস্তাফিজকে বদলে দেওয়ার পেছনে বড় অবদান দিয়েছেন এই দুই ভারতীয়কে। এই দুজনই মুস্তাফিজের বোলিং অ্যাকশন শুধরে দিয়েছেন।

ডোনাল্ড বলেন, শ্রীরাম এবং শ্রীনিবাস বুঝতে পেরেছিল যে, মুস্তাফিজুর যখন স্লো বোলিং করে, বল ছাড়ার সময় তার হাত ব্যাটারের দিকে চলে যায়। এটি আরও সাইড-অন হওয়া দরকার, যাতে বল রিলিজের সময় হাত অফ সাইড বরাবর থাকে। ব্যাপারটি সহজ করার জন্য সে অনেক ওভার বল করেছে এবং বোলিংয়ে ধাঁর বেড়েছে। সে সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছে ইয়র্কার আয়ত্ব করতে।

ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের জিততে প্রয়োজন ছিল ৩ ওভারে ৪০ রান। ৪৮তম ওভারে এসে মেডেন নেন এই বাঁহাতি পেসার। এরপর শেষ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ভারতের। তখন ব্যাটিংয়ে ছিলেন রোহিত। প্রথম পাঁচ বলে রোহিত তুলে নেন ১৪ রান। শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেই ম্যাচ ভারতের। কিন্তু মুস্তাফিজের ইয়র্কারে ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক করতে পারেননি ভারতীয় এই ব্যাটার।

মূলত এই পরিকল্পনা সফল করার জন্যই মুস্তাফিজকে বল দিয়েছিল বাংলাদেশ। এই বিষয়ে খোলাসা করে ডোনাল্ড বলেন, ‘সে বিশ্বমানের ক্রিকেটার। আমরা রোহিত শর্মার মতো বিশ্বমানের খেলোয়াড়ের বিপক্ষে এমন একজনকে চাইছিলাম। তখন ফিজ আমাদের পথ দেখিয়েছে এবং দারুণ ইয়র্কারে আমাদের সিরিজ জিতিয়েছে। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি। মুস্তাফিজ বিশ্বজুড়ে খেলেছে। আপনি বলতেই পারেন সে শেষ হয়ে গিয়েছে। আমি জানি সে কতটা কঠোর পরিশ্রম করছে এখন।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.