গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৪৬ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।
রোববার উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অপরাধের গভীরতা বিবেচনায় আত্মপক্ষ সমর্থনের আবেদন নাকচ করেন ম্যাজিস্ট্রেট। গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকার অন্য একটি আদালতে হাজির করার পর বিএনপির অপর ২ নেতা আমানুল্লাহ আমান ও আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলকে জামিন দেন আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ১৪৬ জনের জামিন আবেদন করলে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আতাউল্লাহ তা খারিজ করে দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে বাদীপক্ষ।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর একই মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তৃতীয়বারের মতো খারিজ করে দেন ঢাকার আরেকটি আদালত। নয়াপল্টনে দলটির কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের একদিন পর ৮ ডিসেম্বর পল্টন মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরও কয়েক জন আহত হয়েছেন।
মামলায় গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের মোট ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পরদিন ঢাকার আদালতে হাজির করা হয়।
৯ ডিসেম্বর ভোররাত ৩টার দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। একই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠান। নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালাতে দলের সদস্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ওই ২ বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন ও বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আসামি করা হয়েছে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.