১১ জঙ্গিকে হত্যার দাবি উগান্ডার

কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের ঘন জঙ্গলে ঘাঁটি গেড়ে থাকা একটি ১১ সদস্যের জঙ্গি দলের হত্যার দাবি করেছে উগান্ডার সেনাবাহিনী।

মঙ্গলবার বাহিনীটি জানায়, সোমবার রাতে সীমান্ত পেরিয়ে উগান্ডার ভেতরে ঢোকা জঙ্গিদের একটি দলের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে তারা।

১৯৯০ এর দশকের শেষ দিক থেকে অ্যালাইড ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স (এডিএফ) উগান্ডায় বিদ্রোহ শুরু করলেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলের বন থেকেই তাদের তৎপরতা চালাতে থাকে। ২০১৯ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) প্রতি আনুগত্যের অঙ্গিকার করে এডিএফ।

উগান্ডার গণপ্রতিরক্ষা বাহিনীর (ইউপিডিএফ) মুখপাত্র ফেলিক্স কুলাইগে টুইটারে লিখেছেন, সোমবার রাতে দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় নটোরোকো জেলার সেমিলিকি নদী পার হয়ে এডিএফের প্রায় ২০ থেকে ৩০ জন যোদ্ধা উগান্ডায় প্রবেশ করার পর তাদের সঙ্গে উগান্ডার সেনাদের সংঘর্ষ হয়।

“আমাদের গোয়েন্দারা তাদের প্রবেশের খবর পাওয়ার পর তাদের বাধা দেওয়া হয়। গোষ্ঠীটির সঙ্গে একটি নিষ্পত্তিমূলক লড়াই চলছে। তাদের ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে,” বলেন তিনি।

তিনি জানান, আরও আট জনকে আটক করা হয়েছে এবং এক উগান্ডান সেনা মারা গেছে।

নটোরোকে জেলার চেয়ারম্যান কাসোলো উইলিয়াম স্থানীয় গণমাধ্যম এনবিএস টেলিভিশনকে জানান, এডিএফের যোদ্ধারা জেলার কায়াঞ্জা দুই ও কিয়োবে গ্রামে হামলা চালালে সেখানকার দেড় হাজারেরও বেশি বাসিন্দা পালিয়ে যায়।

উগান্ডার রাজধানী কাম্পালাভিত্তিক সংবাদপত্র দৈনিক মনিটর জানিয়েছে, ওই এলাকায় এডিএফের যোদ্ধারা বেসামরিকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে, এতে অন্তত তিন জন আহত হয়েছে।

গত বছরের শেষ দিকে কাম্পালায় ও এর আশপাশে ধারাবাহিক বোমা হামলার পর উগান্ডা কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কয়েকশত সেনা মোতায়েন করে। ওই এলাকা থেকে এডিএফকে উচ্ছেদে কঙ্গোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযানের অংশ হিসেবে তাদের মোতায়েন করা হয়।

ওই অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে বলে উগান্ডা দাবি করেছে। কিন্তু তাদের এ দাবি সত্ত্বেও এডিএফ বেসামরিকদের ওপর হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে।

গত মাসে হওয়া এক সমঝোতা অনুযায়ী, কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কয়েক দশক ধরে চলা অস্থিরতা দূর করার দায়িত্বে থাকা একটি আঞ্চলিক বাহিনীতে তারা অতিরিক্ত আরও এক হাজার সেনা মোতায়েন করবে বলে জানিয়েছে উগান্ডা।

অর্থসূচক / এইচএআই

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.