এলসি খুলতে রিজার্ভ থেকে ডলার চায় ব্যাবসায়ীরা

ব্যাবসায়ীরা এলসি খোলার জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার সহায়তা চাচ্ছে। দেশের ব্যাংকগুলো ধীরে ধীরে ডলার সংকট সমাধানের সক্ষমতা অর্জন করবে। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ধরনের নীতি সহায়তা দিবে।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক ও ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) এক বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এ কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, ব্যাবসায়ীরা ইডিএফ ঋণের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনায় নেবে। করোনার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছিলো। এই সুবিধার মেয়াদ চলতি ডিসেম্বরে শেষ হবে। তাই আগামী বছরের জুন পর্যন্ত এই সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন এফবিসিসিআই। এ বিষয়টিও আমরা দেখবো।

তিনি আরও বলেন, করোনার মতো নীতি সহায়তা চেয়েছে ব্যবসায়ীরা। রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার কারনে এটা চেয়েছে, নিয়মিত লোনের জন্য এটা। বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থনীতির স্বার্থে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে বিষয়টি। এলসি খোলায় যাতে সমস্যা না হয় এজন্য ৮ পণ্যের বিষয়ে সার্কুলার হয়েছে, প্রয়োজনে বাড়ানো হবে।

আগামী জুন মাস পর্যন্ত ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষতি খাটিয়ে উঠলেও রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির অর্থনৈতিক কার্যক্রম এখনো সম্পূর্ণভাবে স্বাভাবিক হয়নি। এ কারনেই এ দাবি করে শীর্ষ ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে (জুন ২০২৩) ঋণ পরিশোধ না করলেও যাতে ব্যাংক তাদের খেলাপি না করে, সেই সুবিধা চেয়েছেন তারা।

এফবিসিসিআই সভাপতি মে. জসিম উদ্দিন বলেন, ঋণ শ্রেণীকরণ সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনিচ্ছাকৃত খেলাপিতে পরিণত হবে। এতে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এ কারণে ঋণ বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ প্রক্রিয়া আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত রাখার দাবি জানিয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ বিষয়ি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.