পল্টন থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ১৫৩ নেতাকর্মীর জামিন শুনানি দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) তাদের আইনজীবীরা ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) রেজাউল করিমের আদালতে এ আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য সোমবার (১২ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেন। এদিন দুপুরে আদালতে আইনজীবীরা জামিন শুনানি করবেন।
জামিন চাওয়া উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস ছালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাবেক এমপি মো. ফজলুল হক মিলন, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও সাবেক এমপি সেলিম রেজা হাবিব।
গত ৭ ডিসেম্বর (বুধবার) রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনা ও উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
তারও আগে ওইদিন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার দেখায় ডিবি। এ বিষয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বুধবারের (৭ ডিসেম্বর) ঘটনায় (সংঘর্ষ) তাদের নির্দেশদাতা হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আহত হন অনেকে। এসময় বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চাল-ডাল, পানি, নগদ টাকা পাওয়া যায় বলে জানায় পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করে পল্টন মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.