সম্প্রতি উত্তর সিরিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক। কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করার হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল প্যাট রাইডার বলেছেন, তুরস্কের এই অভিযান আইএস-বিরোধী অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। তুরস্কের এই অভিযানের ফলে ওই অঞ্চলে আইএস ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
বস্তুত, উত্তর সিরিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে বড় সহযোগী কুর্দি যোদ্ধারা। সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (এসডিএফ) মূলত উত্তর সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের নিয়ে তৈরি। তারাই ওই অঞ্চল কার্যত নিয়ন্ত্রণ করে। সম্প্রতি তুরস্ক ওই অঞ্চলেই বিমান হামলা চালায়।
সপ্তাহখানেক আগে ইস্তাম্বুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। যার জেরে ছয়জন প্রাণ হারান। তুরস্কের দাবি, কুর্দি সন্ত্রাসীরাই একাজ করেছে। যদিও কুর্দিদের একাধিক গোষ্ঠী বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ওই কাজের সঙ্গে তারা যুক্ত নয়। কিন্তু এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্কে একের পর এক সন্ত্রাসী কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কুর্দিরা। ইস্তাম্বুল বিস্ফোরণের পর উত্তর সিরিয়ায় বিমান হামলা চালায় তুরস্ক। শুধু তা-ই নয়, তুরস্ক জানিয়েছে, তারা এরপর ওই অঞ্চলে সেনা অভিযান চালাবে।
এরপরেই মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে কুর্দি বাহিনী। এই কুর্দি বাহিনীর সাহায্যেই সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছে আমেরিকা। এখনো কুর্দিদের সঙ্গে নিয়ে ওই অঞ্চলে পেট্রোলিংয়ে যায় মার্কিন বাহিনী। তুরস্কের আক্রমণের পর কুর্দিরা পেট্রোলিংয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে আমেরিকাও পেট্রোলিং চালাতে পারছে না। এর ফলে নতুন করে আইএস লাভবান হবে বলে আমেরিকার আশঙ্কা।
এসডিএফ-এর মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তুরস্কের আক্রমণ নিয়ে তারা আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেছে। রাশিয়াও জানিয়েছে, তুরস্কের এই আক্রমণ বন্ধ হওয়া উচিত। কিন্তু মুখের কথায় তারা সন্তুষ্ট নন। তারা চান, এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু নীতি তৈরি হোক। এ বিষয়েও তারা আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেছেন বলে কুর্দি মুখপাত্র জানিয়েছেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি, এপি
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.