বেলের গোলে ড্র করল ওয়েলস

আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে জমজমাট এক ম্যাচ উপহার দিল যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলস। দুলই লড়াই করল সমানে সমান। তবে ফল কারো পক্ষেই গেল না। পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হলো যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েলসকে। ওয়েলসের হয়ে জালের দেখা পান গ্যারেথ বেল। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে গোল করেন টিমোথি ভিয়াহ।

কাতারের আল রাইয়ান স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় শুরু হওয়া ম্যাচটিতে দুলই লড়াই করে সমানে সমান। ম্যাচের ৫৯ভাগ সময় বল দখলে রেখে ৬বার আক্রমণে যায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এর মধ্যে গোলের দেখা পায় একটিতে। অন্যদিকে ওয়েলস ৪১ ভাগ সময় বল নিজেদের পায়ে রেখে ৭বার আক্রমণ করে।

ম্যাচের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে চেপে ধরে ওয়েলস। তবে সুযোগ পেলেই দারুণ সব প্রতিআক্রমণে ওয়েলসের রক্ষণের পরিক্ষা নেয় আমেরিকানরা। নবম মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি দলটি। জশ সার্জেন্টের কাছ থেকে নেওয়া নিচু শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর দুই দলই ব্যর্থ আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে। এমনকি ৩২তম মিনিট পর্যন্ত ওই প্রথম আক্রমণটিই হয়ে থাকে বক্সের ভেতর থেকে একমাত্র।

ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে লিড পেয়ে যায় দলটি। প্রতিপক্ষের ডি বক্সে সার্জেন্টের সহায়তায় বল পেয়ে দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠান ভিয়াহ। বক্সের একদম সামনে বল পেয়ে দারুণ দক্ষতায় হেনেসিকে পরাস্ত করেন আমেরিকান স্ট্রাইকার। ১৯৫৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপে ওয়েলসের বিপক্ষে গোল করার কীর্তি গড়লেন ওয়েহ। এর আগে সর্বশেষ গোল করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান গ্রেট পেলে। প্রথমার্ধে ১-০ লিড ধরে বিরতিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

বিরতি থেকে ফিরেও রক্ষণ ধরেই খেলে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এক পেনাল্টিতে এলোমেলো হয়ে যায় সব। ম্যাচের ৮২তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পেয়ে যায় ওয়েলস। পেনাল্টির সুযোগ হাতছাড়া করেননি গ্যারেথ বেল। সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরালেন তিনি। বাকি সময় আর ব্যবধান বাড়তে দেননি। পরবর্তীতে আর কোনো গোল না হলে ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.