বিদেশি মুদ্রায় এখন পর্যন্ত কোনো ঋণ খেলাপি হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক তা কখনো হতে দেবে না। সোমবার (১৪ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আবুল কালাম আজাদ এ কথা বলেন।
এলসি খোলার বিষয়ে তিনি বলেন, কমার্শিয়াল লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। দেশের ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্স আয় ও ব্যয় সাপেক্ষে ঋণপত্র খুলছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়ম অনুযায়ী তদারকী করছে।
এছাড়া অগ্রাধিকার খাত ও জরুরি পণ্য আমদানিতে সরকারি ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধে ডলার সাপোর্ট দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সামনের দিনগুলোতেও এসব খাতে ডলার সাপোর্ট দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ১ শতাংশ। এছাড়া বিশেষ তদারকিতে ওভার ইনভয়েসিং ও আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ১০ তারিখ পর্যন্ত এলসি খোলা হয়েছে ১ হাজার ২৬৩ মিলিয়ন ডলারের। গত মাসের একই সময়ে যা ছিল ১ হাজার ২৩২ মিলিয়ন ডলার। এর আগে চলতি বছরের অক্টোবরে ৪ হাজার ৭৪৩ মিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে।
এদিকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি নাগাদ ডলার সংকটের সমস্যা দূর হবে। এসময় বৈদেশিক মুদ্রা বাজারের চাহিদা ও সরবরাহে অনেকটাই ভারসাম্য অবস্থা ফিরে আসবে বলে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তা।
অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.