বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যা: বান্ধবীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে হত্যা এবং লাশ গুমের অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা থানায় বান্ধবীসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। ফারদিনের বাবা কাজী নুরুদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে মামলাটি করা হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ফারদিনের সেই বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে। আমরা এ বিষয়টি আগে থেকেই তদন্ত চালিয়ে আসছিলাম। এখন মামলা করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
পুলিশ জানায়, ফারদিন নূরের ওই বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছেন। চার বছর ধরে ওই বান্ধবীর সঙ্গে ফারদিন নূরের যোগাযোগ।
ফারদিন নূর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বুয়েটের ড. এম এ রশীদ হলে সংযুক্ত থাকলেও হলে থাকতেন না৷ পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন। নারায়ণগঞ্জ পুলিশ গত সোমবার ফারদিন নূরের লাশ উদ্ধার করে। ফারদিন নূরের বাবা কাজী নূর উদ্দিন একজন সাংবাদিক। তিনি দ্য রিভারাইন নামে ব্যবসাবিষয়ক একটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক। মা সাহারা খাতুন গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়।
শনিবার থেকে ফারদিন নূরের খোঁজ মিলছিল না। ওই দিনই রাজধানীর রামপুরা থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা কাজী নূর উদ্দিন। এতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বেলা তিনটার দিকে আমার ছেলে ফারদিন নূর পরশ ঢাকার ডেমরা থানাধীন কোনাপাড়ার নিজ বাসা থেকে বুয়েটের আবাসিক হলের উদ্দেশ্যে বের হয়। পরদিন শনিবার সকাল ১০টায় তার বিভাগের (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং) পরীক্ষা ছিল। পরে জানতে পারি যে আমার ছেলে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। ছেলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ফোন বন্ধ পাই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে একজন মেয়েবন্ধুর সঙ্গে রিকশায় করে রামপুরা থানাধীন ট্রাফিক বক্সের সামনে নেমে যায় সে। সে এখনো বাসায় ফেরেনি।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.