ফ্রন্টলাইনে নতুন করে রাশিয়া সেনা পাঠাচ্ছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাজ্য। নিজেদের ডিফেন্স লাইনও তারা শক্তি করছে। তারই মধ্যে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, এখনো প্রতিদিনই নতুন নতু প্রক্রিয়ায় জমি দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব ইউক্রেনে এখনো তীব্র লড়াই চলছে। কিন্তু ইউক্রেনের সেনা রাশিয়াকে এক ছটাক জমিও দখল করতে দেয়নি।
এরপরেই জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনায় বসতে তিনি প্রস্তুত। কিন্তু তার আগে ইউক্রেনের সার্বভৌম অঞ্চল ফিরিয়ে দিতে হবে। রাশিয়া ইউক্রেনের যে জমি দখল করেছে, তা ইউক্রেনকে দিয়ে দিতে হবে। তিনি ইউক্রেনের জমি ফেরতের যে দাবি করেছেন, তার মধ্যে ক্রাইমিয়াও আছে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখল করেছিল রাশিয়া।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, রাশিয়া মানুষের দাবি মেনেই কয়েকটি এলাকাকে প্রথমে স্বাধীন ঘোষণা করেছিল এবং পরে তা নিজেদের শাসনাধীনে নিয়ে এসেছে। ওই অঞ্চলে গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ রাশিয়ার অংশ হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তারপরেই রাশিয়া তা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সেই অঞ্চল ইউক্রেনকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রশ্ন নেই।
জেলেনস্কির দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে তিনি একাধিকবার আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রাশিয়া তাতে রাজি হয়নি।
এদিকে লুক্সেমবার্গে রাশিয়ার ১৭ বিলিয়ন ইউরোর সম্পত্তি আছে বলে একটি হিসেব প্রকাশ করেছে দেশটির সরকার। তার মধ্যে পাঁচ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ইউরোর সম্পত্তি ফ্রিজ করা হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না করলে আরো নিষেধাজ্ঞা জারি হবে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনকে ৭২ মিলিয়ন ইউরোর অস্ত্র দিয়েছে লুক্সেমবার্গ।
এ ছাড়া জার্মানির পর এবার ইতালির কাছ থেকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পাবে ইউক্রেন। নানা ধরনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে ইতালি। ফ্রান্স-ইতালির তৈরি এসএএমপি/টি এবং ইতালিয়ান অ্যাপাইড ইউক্রেনের হাতে তুলে দেবে ইতালি। এছাড়াও স্টিংগার মিসাইলও তাদের দেওয়া হবে। তবে এই অস্ত্র কবে পাঠাবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। যদিও সোমবার ইউক্রেন জানিয়েছে, আমেরিকার নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তারা ওই দিনই পেয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এএফপি
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.