আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষ হয়েছে। আইএমএফের সদস্যরা সুদের হারের সীমা, ঋণ খেলাপি কমাতে ব্যাংক পর্ষদ গঠনে সংস্কার ও রিজার্ভ গণনায় আন্তর্জাতিক পদ্ধতি অনুসরণে জোর দেয়।
বৈঠকে উভয়দলের প্রতিনিধিরা নিজেদের পক্ষে দরকষাকষি করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা কিছু ইস্যুতে দ্বিমত পোষণ করে নিজিদের মধে ব্যাখা উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু ঋণের সুদের হারের সীমা নির্ধারণ, অভিন্ন একেচঞ্জ রেট, রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি ও খেলাপি ঋণ কমাতে ব্যাংক পর্ষদ গঠনের আইনের সংস্কার প্রভৃতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, আইএমএফ প্রতিনিধি দল সদস্য দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের তদারকি করতে পারে। তারা গত জুলাইতেও এসেছিল। নিয়মিত তরকরকির ক্ষমতা রাখে আইএমএফ। তাদের মূল কাজ ঋণ মঞ্জুর বা অনুমোদন দেওয়া নয়। কিন্তু তাদের প্রতিবেদন ভাল না হলে ঋণ পাওয়া নিয়ে জটিলতা দেখা যায়। এজন্য সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ঋণের সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক জিএম আবুল কালাম আজাদ অর্থসূচককে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফের এর আগেও অনেকগুলো বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজকে সেসব বৈঠকের বিষয়ে সার্বিক আলোচনা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (৯ নভেম্বর) এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অর্থমন্ত্রণালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে গভর্নরও উপস্থিত থাকবে। তখন বিস্তারিত জানা যাবে।
অর্থসূচক/সুলাইমান/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.