সমালোচনার দিকে নজর দিইনি: শান্ত

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূল পর্বে দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। যেকোনো বারের তুলনায় এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই সাফল্যের হার বেশি। যদিও বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য পুরো আসরজুড়েই সমালোচনা হয় তাকে নিয়ে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাঁচটি ম্যাচ খেলে মাত্র দুটিতে জয়ের দেখা পেয়েছে। সমালোচনার মাঝে থাকা শান্তও পেয়েছেন দুটি হাফ সেঞ্চুরি। ৫ ম্যাচে ৩৬ গড়ে ১৯০ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। স্ট্রাইক রেটও খারাপ নয়। প্রায় ১১৫ এর কাছাকাছি। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় ৯ নম্বরে আছেন তিনি। অথচ লিটন দাস ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনও ব্যাটারই আসরে একশ রান পার হতে পারেননি। তার রান ১২৭।

দেশে ফিরে শান্ত বলেন, ‘আমাকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। আসলে আমি ওদিকে একদম ফোকাসই দিইনি। আমি আমার খেলাতে মনোযোগ দিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়েছে। বাট আমি মনে করি, এখান থেকে যেন আরও ভালো করতে পারি সামনে সেই চেষ্টা থাকবে। অবশ্যই এ বিশ্বকাপে আমরা যেরকম খেলেছি আমার মনে হয় এ আত্মবিশ্বাস সামনের বিশ্বকাপে দেবে। যদিও এ বিশ্বকাপে আমাদের আরো ভাল করার বড় সুযোগ ছিল। এটাই মাথায় থাকবে যে সামনের বিশ্বকাপে এর থেকে ভালো আমরা করতে পারি এবং আমাদের হাতে আরো দু বছর আছে। সো এ দু বছর আমরা ওভাবে নিজেদের প্রস্তুত করব এবং ওভাবে যদি অনুশীলন করি সামনের বিশ্বকাপে আরো ভালো ফল করা সম্ভব।’

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে শুভসূচনা শুরু করে বাংলাদেশ। যদিও এর পরের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে রীতিমতো উড়ে যায় টাইগাররা। তারপরের ম্যাচেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতে যায় সাকিবের দল। তবে আসরে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রীতিমতো হৃদয় জিতে নেয় বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে সেই বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচটিতে যদিও পাঁচ রানে হেরে যায় সাকিবের দল। সবশেষে পাকিস্তানের বিপক্ষেও খেই হারায় লাল-সবুজের দল। অথচ এই ম্যাচটি জিতলেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে যেতো তারা।

শান্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় যে যদি আমরা আগের বিশ্বকাপগুলো দেখি ফল অনুযায়ী ভালো করেছি। সব থেকে ভালো যে দিকটা ছিল আমরা যে দুটা ম্যাচ জিতেছি, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ওগুলোতে আমরা দল হিসেবে ভালো খেলেছি। যেগুলো জিততে পারিনি ওগুলো দল হিসেবে জিততে পারিনি। সবাই একসঙ্গে যে পারফরম্যান্সটা আমরা করেছি, এজ এ টিম হিসেবে। হতাশ বলব না, কারণ আমার মনে হয় না যে কেউ এরকমভাবে চিন্তা করেছে যে আমরা সেমিফাইনালে যাওয়ার এরকম একটা সুযোগ তৈরি হবে বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে। কিন্তু আমরা ওইটাই চিন্তা করেছি যে আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। সো ওটাই ইয়ে ছিল। যখন ওই সুযোগটা পেয়েছিলাম তখন সবার পরিকল্পনা ছিল…খুব ভালো একটা সুযোগ ছিল। ওটা আমরা নিতে পারিনি। কিন্তু এ আত্মবিশ্বাসটা আমরা সামনে যখন বিশ্বকাপ খেলব, ওই বিশ্বাসটা থাকবে যে এরকম পরিস্থিতিতে কীভাবে আরো ভালো করতে পারি।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম দশ ওভারে করে এক উইকেটে ৭০ রান। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। শেষপর্যন্ত ১২৭ রানে থামে তারা। পাঁচ উইকেট হাতে রেখে এই লক্ষ্য তাড়া করে পাকিস্তান। এই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে চলে যেতো বাংলাদেশ, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ হতো নিউজিল্যান্ড!

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.