বিএনপিকে ঠেকাতে বাঁশের কেল্লার মতো দুর্গ তৈরির নির্দেশ কাদেরের

বিএনপিকে ঠেকাতে এবার ব্রিটিশবিরোধী নেতা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার মতো দুর্গ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘খেলা হবে, ডিসেম্বরে খেলা হবে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভোট চোরের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ভুয়া ভোটার তালিকার বিরুদ্ধে খেলা হবে। আওয়ামী লীগ প্রস্তুত। উত্তর জনপদে বাঁশের কেল্লা তৈরি করুন।’

সোমবার (৭ নভেম্বর) বিকালে টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে জিয়াউর রহমান। তাদের বিচার বন্ধ করতে আইন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুরস্কৃত করেছে, খুনিদের বিচার বন্ধ করতে চেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খুনিদের ক্ষমা করা যায় না। শেখ হাসিনা সরকার সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব করছে। সেই সরকারের বিরুদ্ধে এরা সাধারণ জনগণকে উসকানি দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘১৩ বছরে একটি মিছিলও বের করতে পারেনি, তারাই আবার আন্দোলন করবে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে নাকি বিজয় মিছিল করবে। তারেক জিয়া মুচলেকা দিয়ে বিদেশ চলে গিয়েছে। কার নেতৃত্বে বিএনপি আন্দোলন করবে? শেখ হাসিনা ডাক দিলে ঢাকায় লাখ লাখ লোক বের হবে। অলিগলি ভরে যাবে। বাইরের লোক লাগবে না। পালাবার দল আওয়ামী লীগ না। পালাবার দল বিএনপি। এবার কোথায় পালাবেন? এই দিন দিন না, আরও দিন আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বরিশালে নাকি ঢল। কীর্তনখোলার তীরে ঢল। মির্জা ফখরুল রংপুরে এক বস্তা টাকা শেষ করে গেছে। টাকার বস্তার ওপর বসেছিল। সেই দুবাইয়ের টাকা। এই টাকা ওড়ে বরিশালে। মির্জা ফখরুল টাকার ওপর বসে আছে।’

সোমবার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, কামরুল ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।

প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ বক্তা ছিলেন প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সদস্য সানজিদা খানম, সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, ইকবাল হোসেন অপু ও মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ টাঙ্গাইলের সব আসনের সংসদ সদস্যরা।

সম্মেলনে সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।

২০১৫ সালের ১৮ অক্টোবর সম্মেলনের মাধ্যমে বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান খান ফারুককে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জোয়াহেরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.