সূর্য ভিন্নগ্রহ থেকে এসেছে: ওয়াসিম আকরাম

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বোলারদের জন্য রীতিমতো এক আতঙ্কের নাম সূর্যকুমার যাদব। শুধুই বিশ্বকাপ নয়, চলতি বছর টি-টোয়েন্টিতে বেশ ধারবাহিক তার ব্যাট। ইতোমধ্যেই এক পঞ্জিকা বর্ষে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। সেটাও আবার দেড়শোর বেশি স্ট্রাইকরেটে।

চলমান বিশ্বকাপে ৫ ম্যাচ খেলে ৭৫ গড়ে সূর্যকুমার করেছেন ২২৫ রান। তার স্ট্রাইকরেট ১৯৩.৯৬! যা আসরে খেলা যেকনো ব্যাটারের চেয়ে বেশি। যেখানে এখনও পর্যন্ত হাফ সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি। তাছাড়া দলের প্রয়োজনে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাটিং করারও সামর্থ্য রাখেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।

পাকিস্তানি গণমাধ্যম ‘এ স্পোর্টসের’ টক শোতে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘আমার মনে হয় সে ভিন্নগ্রহ থেকে এসেছে। বাকি সবার চেয়ে সে একদমই আলাদা। যে পরিমাণ রান সে করছে। এই বছর একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ১ হাজার রান করেছে, যেকোনো বছরে এই ফরম্যাটে এত রান আর কেউ করেনি। আর সেটা করেছে ১৮০র বেশি স্ট্রাইকরেটে। তার খেলা দেখা চোখের প্রশান্তি। শুধু জিম্বাবুয়ে না, সেরা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষেও। এই শটটা দেখুন অবিশ্বাস্য (ইনিংসের শেষ স্কুপ করে মারা ছক্কা নিয়ে) । প্রতিভার সঙ্গে সাহসের অসাধারণ মিশেল। মজা লাগে তার খেলা দেখতে।’

উইকেটের গিয়ে প্রথম বল থেকেই শট খেলতে পারেন, স্পিনার কিংবা পেসার যেকোনো বোলারের বিপক্ষেই সাবলীল ব্যাটিং করেন, লেগ স্ট্যাম্পের দিকে সরে এসে জায়গা করে নিয়ে এক্সট্রা কভারের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকানো কিংবা ল্যাপ শট সবই স্বাছন্দ্যে খেলেন সূর্যকুমার। একজন দক্ষ মিডল অর্ডার ব্যাটারের মধ্যে যা যা থাকা প্রয়োজন তার প্রায় সব গুণই আছে সূর্যকুমারের। মূলত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে লাইম লাইটে আসেন সূর্যকুমার। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পরই জাতীয় দলের দরজা খুলে যায় তার জন্য।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ পেয়ে তা দুই হাত ভরে কাজে লাগিয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার। সাদা বলের ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের র‍্যাঙ্কিংয়েও ইতোমধ্যেই শীর্ষস্থানে উঠে এসেছেন তিনি। উইকেটের চার পাশে শট খেলতে পারার দক্ষতা তার এমন সফলতার অন্যতম কারণ। যে কারণে তাকে বলা হয় ৩৬০ ডিগ্রি ক্রিকেটার।

একই টক শোতে পাকিস্তানের আরেক কিংবদন্তি পেসার ওয়াকার ইউনুস বলেন, ‘সে (সূর্যকুমার) সব দিকেই মারে। সে আসলেই ৩৬০ ডিগ্রি। সবদিকেই সমানভাবে বল মারতে পারে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.