ইরানে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা বিক্ষোভকারীরা খুব শিগগিরিই নিজেদের মুক্ত করতে সফল হবে এমন কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানকে আশস্ত করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে ৮ নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্যালিফোর্নিয়ায় এক প্রচার সমাবেশে গত বৃহস্পতিবার বাইডেন বলেন, “চিন্তা করবেন না। আমরা ইরানকে মুক্ত করব। তারা খুব শিগগিরই নিজেরা নিজেদের স্বাধীন করবে।”
সান ডিয়াগোর কাছে মিরাকোস্টা কলেজের ওই সমাবেশস্থলে তখন ইরানে বিক্ষোভের সমর্থনে ব্যানার নিয়ে উপস্থিত ছিল বহু মানুষ। তাদের হাতে ধরা ছিল ‘ইরানকে মুক্ত কর’ লেখা প্ল্যাকার্ড।
এর প্রেক্ষাপটেই বাইডেন ইরানকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। তবে এজন্য তিনি বাড়তি কী ব্যবস্থা নেবেন সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি।
সাত সপ্তাহ আগে ইরানে ঠিকমত হিজাব না পরায় আটক মাশা আমিনি নামের এক তরুণীর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর থেকেই সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে।
ইরানে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনির বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ-ধর্মঘট সবচেয়ে সাহসিকতাপূর্ণ এক চ্যালেঞ্জ। বিক্ষোভ দিন দিনই জোরাল হচ্ছে।
বিক্ষোভে নেমেছে সর্বস্তরের মানুষ। এর মধ্যে শিক্ষার্থী এবং নারীরাই সোচ্চার হয়েছে বেশি। তারা হিজাব খুলে, পুড়িয়ে বিক্ষোভ করছে। ১৯৭৯ সালে ইরানি বিপ্লবের পর থেকে দেশটিতে এখনকার এই বিক্ষোভই সবচেয়ে বড় আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।
বিক্ষোভে তেহরান সরকারের দমন-পীড়ন এবং নারীদের অধিকার দিতে অস্বীকৃতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র গত বুধবার বলেছে, তারা জাতিসংঘের ৪৫ সদস্যের কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন (সিএসডব্লিউ) থেকে ইরানকে সরানোর চেষ্টা করবে।
জাতিসংঘের এই কমিশনে ইরান সদ্যই চার বছরের মেয়াদ শুরু করতে চলেছে। এই কমিশন প্রতিবছর মার্চে সভায় বসে। লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা এবং নারীর ক্ষমতায়ন করা কমিশনের লক্ষ্য।
সূত্রঃ রয়টার্স
অর্থসূচক/ এইচএআই
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.