ডলার সংকটের মধ্যে চলতি হিসাবেও ঘাটতি

দেশের চলতি হিসাবের ঘাটতি সেপ্টেম্বরে আরও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স কমে যাওয়া এবং আমদানি বেড়ে যাওয়ায় চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়েছে ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ৩৬০ কোটি ডলার । এক বছর আগেও এই হিসাবের ঘাটতি ছিলো ২ দশমিক ৫ বিলয়ন ডলার।

এদিকে ডলার সংকটের পাশাপাশি রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এতে চাপের মধ্যে রয়েছে দেশের অর্থনীতি। চাপ সামাল দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ডলার সরবরাহ করছে। এতেও চাপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যেই ধারাবাহিক বাণিজ্য ঘাটতি ও চলতি হিসাবে ঘাটতি বাড়ছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে ১৬ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে। আগস্ট মাসে ঘাটতি ছিলো ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। বিনিময় হার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের উপর আরও চাপ বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত ৮ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিলো ১৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

সংকট মোকাবেলায় চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৪৮৯ কোটি ডলার বিক্রি করেছে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বছরের আগস্টে সর্বোচ্চ রিজার্ভ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।

আগস্টে ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ রয়েছে। সেপ্টেম্বরে একটু কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির প্রভাব দেশের সার্বিক অর্থনীতির উপর পড়তে শুরু করেছে।

এখন থেকে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে উচ্চ আয়ের প্রবাসী পেশাজীবীদের (চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, আইনজীবী, ব্যাংকার, নার্সসহ উচ্চ আয়ের পেশাজীবী) পাঠানো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারে ১০৭ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলো আপাতত রেমিট্যান্স আহরণ বাবদ কোনো চার্জ বা মাশুল নেবে না বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করে ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এবিবি ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাফেদা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.