রাশিয়া লাগাতার রকেট হামলা চালায় কিয়েভ-সহ গোটা ইউক্রেনে। যার জেরে কিয়েভের বিস্তীর্ণ অঞ্চল বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। নেই জল। কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিৎসচো ইউরোপীয় দেশগুলির কাছে আবেদন করেছেন, তারা যেন ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ায়। লড়াই কেবল একটি দেশের লড়াই নয়, গোটা ইউরোপের হয়ে লড়ছে ইউক্রেন।
সোমবারের হামলার পর ৮০ শতাংশ মানুষ পানি না পেয়ে পালিয়েছেন। কারণ, হামলার ফলে পানির লাইনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় তিন লাখ ৫০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। মেয়রের দাবি, ইচ্ছাকৃতভাবে বেসামরিক নাগরিক অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে মস্কো। তারা গোটা ইউক্রেনকে ভেঙে দিতে চাইছে। সাধারণ মানুষকেও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। সোমবারের আক্রমণ মূলত বেসামরিক অঞ্চলে হয়েছে বলে দাবি কিয়েভের মেয়রের।
সাক্ষাৎকারে ক্লিৎসচো বলেছেন, গোটা ইউরোপ অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে লড়াই করছে। তা সত্ত্বেও ইউক্রেনকে আর্থিক এবং সামরিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য তারা ইউরোপের দেশগুলির কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু একইসঙ্গে মনে রাখা দরকার, এই লড়াই ইউক্রেনের একার নয়, গোটা ইউরোপের জন্য লড়াই করছে ইউক্রেন। ৫১ বছরের মেয়র আগে ইউক্রেনের বক্সিং চ্যাম্পিয়ন ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। পুতিন কেবল ইউক্রেন দখলের চেষ্টা করছেন না, ইউরোপের আরো অনেক দেশ দখল করতে চান তিনি।’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো এদিন মেয়রও বলেছেন, রাশিয়া একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। পুতিন চাইছেন, পুরনো সোভিয়েত ইউনিয়নের অবয়বে একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলতে। সমস্ত পুরনো সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলিকে দখল করতে চান তিনি।
ক্লিৎসচো বলেছেন, গত কিছুদিনে একটি বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেছে। ফ্রন্টলাইনে রাশিয়ার সেনা বিশেষ কিছু করতে পারছে না। ইউক্রেনের সেনার কাছে তারা পরাজিত হচ্ছে। যে অঞ্চলগুলি তারা দখল করেছিল, সেখান থেকে তাদের পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই কৌশল বদল করেছে রাশিয়া। মিসাইল ছুঁড়ে তারা ইউক্রেনের শহরগুলিকে ভেঙে দিতে চাইছে। ইউক্রেনের মানুষকে পালাতে বাধ্য করছে। কিন্তু ইউক্রেনের মানুষও রাশিয়াকে ছেড়ে দেবে না। তার দাবি, সোমবার গোটা ইউক্রেনে অন্তত ৫০টি রকেট হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর আগে অক্টোবরের গোড়ায় একই ধরনের রকেট হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। ডিডাব্লিউ
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.