সোহানকে আগেই সাবধান করেছিলেন সাকিব

শেষ ওভারের ১৬ রানের সমীকরণ শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় ১ বলে ৫ রানে। মোসাদ্দেকের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। বল গ্লাভস বন্দি করে অনায়াসে স্টাম্প ভাঙেন সোহান। তাতে উল্লাসে মেতে উঠে বাংলাদেশের ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফ এবং সমর্থকরা। অন্যদিকে জয়ের খুব কাছে গিয়ে জিততে না পারায় হতাশায় ডুবেছিলেন মুজারাবানি ও রায়ান বার্ল। সবাই যখন মাঠ ছাড়ছিলেন তখন সিদ্ধান্ত জানতে থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন লেগ আম্পারার। রিপ্লেতে দেখা যায় বল স্টাম্প ক্রস করার আগেই সেটা ধরে ফেলেন সোহান। এমসিসির নীতি অনুযায়ী যা নিয়ম বহির্ভূত। ফলে নো বলের সঙ্গে ফ্রি হিট পায় জিম্বাবুয়ে।

তাতে ম্যাচ জিততে শেষ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ৪ রান। সেসময় পরামর্শ দিতে মোসাদ্দেকের কাছে এগিয়ে যান সাকিব। সেসময় সাকিব আল হাসান খানিকটা নার্ভাস থাকলেও বাংলাদেশের অধিনায়ককে অভয় দিয়েছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ পর্যন্ত বল ব্যাটে লাগাতে পারেননি মুজারাবানি। ফলে বাংলাদেশ জিতে যায় ৩ রানে।

ম্যাচ শেষে এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি যখন মোসাদ্দেকের কাছে গিয়েছিলাম যে শেষ ওভারটা করতেছিল। সে আমাকে বলেছিল, ‘আমি নিয়ন্ত্রণে রাখবো। চিন্তা করবেন না সে ব্যাটে ছোঁয়াতেও পারবে না।’ যা আমাকে খানিকটা স্বস্তি দিয়েছিল। আমি নার্ভাস ছিলাম। দেখুন, এটা আসলে খুব ভালো একটি খেলা। উভয় দলই শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। এটা সমর্থকদের জন্য ভালো ব্যাপার।’

স্টাম্পিংয়ে ভুল করায় সোহানকে সাবধান করে দিয়েছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ (খানিকটা নার্ভাস মোমেন্ট ছিল)। যখন দ্বিতীয়বার বল করা হলো এবং সোহান স্টাম্পিং করেছিল তখন আমি তাকে বলেছিলাম, ‘তুমি খুবই কাছে ছিলে। আম্পায়ার চেক করতেছিল। পরেরবার থেকে তুমি সাবধান থাকবে। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.