৪ উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের

চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয়ের খোঁজে জিম্বাবুয়েকে ১৫১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামা ক্রেইগ আরভিনের দল পাওয়ার প্লে’তে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে। তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান নিয়েছে ২টি করে উইকেট।

১৫১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুর ওভারেই ওয়েসলে মাধেভেরেকে হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় বলে তাসকিনের বলে থার্ড ম্যানে মুস্তাফিজের তালুবন্দি হন এই ওপেনার। খানিক পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে ক্রেইগ আরভিনকে উইকেটের পেছনে আউট করেন তাসকিন। ৮ রান করে জিম্বাবুয়ে দলপতি ফেরার পর মিল্টন শুম্বা ও শন উইলিয়ামস মিলে রান যোগ করতে থাকেন। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার ঠিক আগে জোড়া আঘাত হানেন মুস্তাফিজ। দারুন এক ক্যাচে শুম্বাকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান সাকিব। একই ওভারের পঞ্চম বলে সিকান্দার রাজাকেও বিদায় করেন ফিজ।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিতে পারেননি সৌম্য সরকার। রানের খাতা খোলার আগেই ব্লেসিং মুজারাবানিকে সামলাতে পারেননি এই ব্যাটার। সঙ্গী হারালেও লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন শান্ত। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার ঠিক আগে স্কুপ করতে গিয়ে ১২ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলে ফেরেন লিটন। ৬ ওভার পরও রান রেট ৬-৭ এ রেখেই স্কোরবোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন সাকিব আল হাসান ও শান্ত। ১০ ওভারে দলীয় রান গিয়ে দাঁড়ায় ৬২। বিরতির পর এই জুটি হাত খুলতে শুরু করেন। বিশেষ করে শান্ত দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করছেন।

কিন্তু ১৩তম ওভারে ৪ বলে এক রান আসায় ৫ম বলে দলকে চাপমুক্ত করতে গিয়ে ৩০ গজে আউট হন সাকিব। শন উইলিয়ামসকে উইকেট ছুঁড়ে দেয়ার আগে তিনি করেন ২০ বলে ২৩ রান। পরের ওভারে রাজার বিপক্ষে সিঙ্গেল নিয়ে ৪৫ বলে হাফ সেঞ্চুরি পুরণ করেন শান্ত। এরপর ১০ বলে শান্ত যোগ করেন আরও ২১ রান। তবে ৭১ রানে রাজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে আউট হন তিনিও। শেষের দিকে মোসাদ্দেককে সাথে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন আফিফ। শেষ ওভারে ১০ বলে ৭ রান করে মোসাদ্দেক ফিরলেও আফিফ দলকে নিয়ে যান ১৫০’র ওপর।

এর আগে সোহান আউট হন এক রানে, রান আউটের ফাঁদে পড়ে। দেড়শ রানের বেলায় আফিফ ফেরেন লেগ বিফোর হয়ে। ১৯ বলে ২৯ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ৭ উইকেটে ১৫০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ২ উইকেট নেন মুজারাব্বানি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.