প্রায় একবছর ধরে সরকার তৈরি করা যাচ্ছিল না ইরাকে। অবশেষে সেই জট কাটলো। নতুন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মেদ শিয়া আল-সুদানি। ইরাকের পার্লামেন্ট ২১ জনের নতুন মন্ত্রিসভাকে সমর্থন জানিয়েছে। যার প্রধান প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানি।
গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পার্লামেন্টে নতুন সরকার গঠন করা যাচ্ছিল না। রাজনৈতিক দলগুলি নিজেদের মধ্যে ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারছিল না। ফলে এক অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী সরকার চালাচ্ছিল। অবশেষে আল-সুদানির হাত ধরে সেই অচলাবস্থা কাটলো।
অচলাবস্থা কাটলেও প্রধানমন্ত্রী আল-সুদানির সামনে লম্বা চ্যালেঞ্জ পড়ে আছে। দেশের অর্থনীতি, রাজনৈতিক অবস্থা, সমাজব্যবস্থা ভয়াবহ জায়গায় দাঁড়িয়ে। এই পরিস্থিতিতে সকলকে নিয়ে কাজ করা সহজ হবে না। প্রধানমন্ত্রী পদে নিযুক্ত হয়েই আল-সুদানি বলেছেন, ‘আমার মন্ত্রিসভা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সংকটজনক পরিস্থিতি থেকে দেশকে বার করে নিয়ে আসবে। গোটা বিশ্বই এখন অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি।’
৫২ বছরের আল-সুদানি ইরানপন্থি কোঅর্ডিনেশন ফ্রেমওয়ার্ক পার্লামেন্টারি ব্লকের প্রতিনিধি। এই ব্লকের প্রতিনিধি পার্লামেন্টে এখন সবচেয়ে বেশি। তাদের উল্টো দিকে আছে মোকতাদা আল-সদরের শিয়া ব্লক।
অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাধিমির থেকে ক্ষমতা পেয়েছেন আল-সুদানি। গত এক বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরাকের অবস্থা ক্রমশ কঠিন হয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন। চাকরি নেই। ফলে যুবসমাজের হাতে কাজ নেই। তারইমধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিক দিক থেকে ইরাক এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একাধিক সংস্কারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে আল-সুদানিকে। তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ বিরোধীদের সেই সংস্কারের অংশ করা। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.