ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তাল সাগরে ডুবে যাওয়া ড্রেজারে থাকা নিখোঁজ ৮ শ্রমিক কাউকেই মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। সন্ধ্যা ৬টায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে আবার অভিযান শুরু করা হবে।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, আমরা এখনও (মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত) কোনো শ্রমিককে উদ্ধার করতে পারিনি। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ সব শ্রমিকই মারা গেছেন। তাদের মরদেহগুলো ড্রেজারের মধ্যে বালি চাপা পড়ে থাকতে পারে। উদ্ধারের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টার পর ডুবুরি দলের উদ্ধারকাজ সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে যথারীতি উদ্ধার অভিযান আবার শুরু করা হবে। মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা ডুবে যাওয়া ড্রেজারটি টাগবোট দিয়ে তীরে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন।
নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন, ড্রেজার চালক ইমাম মোল্লা (৩২), শাহীন মোল্লা (৩৮), মাহমুদ (২৬), আল- আমিন (২০), জাকারিয়া (২৯), জাহিদ (২৭), তারেক (২০) ও বশর আলম (৩৫ )। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালী সদর উপজেলার জৈনকাঠি ইউনিয়নে।
গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে সৃষ্ট জোয়ার ও ঝোড়ো বাতাসে তালিয়ে যায় ড্রেজারটি। এ সময় ড্রেজারে থাকা আট শ্রমিকও পানিতে ডুবে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নে গড়ে ওঠা নতুন শিল্প নগরের বসুন্ধরা জোনের বেড়িবাঁধ থেকে এক হাজার ফুট দূরত্বে সাগরে রাখা ছিল ড্রেজারটি।
মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, ৮ জন শ্রমিকসহ ড্রেজারটি ডুবে যাওয়ার খবর শুনেই আমরা টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দিই। নিখোঁজ শ্রমিকদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.