বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৮০ লাখ গ্রাহক: প্রতিমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারাদেশের প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, সিত্রাং উপকূলীয় এলাকায় আঘাত করেছে। বিদ্যুতের অবকাঠামোগুলোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে। প্রায় ৮০ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন আছেন। ট্রান্সমিশনে আঘাত হয়নি। আঘাত হয়েছে ডিস্ট্রিবিউশনে। অনেক পোল ভেঙে গেছে। গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী জানান, আশা করছি বিকেলের মধ্যে ৭০ ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরবে। কাল দুপুরের মধ্যে শতভাগ সম্পন্ন হবে। আমাদের কর্মীরা কাজ করছেন। বেশ ক্ষতি হয়েছে। অনেক সাব স্টেশনে পানি উঠেছে। টাকার হিসাবটা আরও পরে জানানো যাবে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ায় দেশের আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে। দেশের বেশির ভাগ জেলায় বেশ রোদ ওঠার খবরও পাওয়া গেছে। গত রাতেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এটি লঘুচাপ আকারে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থান করছে। বিকেলের মধ্যেই যা গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।

এদিকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কাজ চলছে উপকূলীয় এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী দুই প্রতিষ্ঠান আরইবি এবং ওজোপাডিকো। তারা বলছেন, কিছু এলাকায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে যাওয়া, ট্রান্সফরমার পরিবহন করে নিয়ে যেতে সময় লাগছে।

বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (আরইবি) অধীন এলাকায় গতকাল রাত ১২টার হিসাবে ৩১টি সমিতির প্রায় ৮৭ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। এতে করে উপকূলীয় প্রায় ২৫ জেলা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল। এরপর রাতভর চলে ঝড়ের তাণ্ডব। এতে করে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয় আরও কিছু।

সকালের হিসাবে আরইবি সূত্র জানায়, ৩৫টি সমিতির প্রায় ৮৯ লাখ ৯৫ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে। গভীর রাতে কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় সকালে বিদ্যুৎ লাইন সচল করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে অনেক এলাকায় পানি থাকায় কাজে বিঘ্ন ঘটছে। বিকাল নাগাদ অনেক সমিতির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানানো হয়েছে। তবে কিছু দুর্গম এলাকায় আরও বেশি সময় লাগতে পারে বলেও জানানো হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.