ব্যবসায়ীকে হত্যা, ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় অপহরণের পর তিন গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে ১০ আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বান্দরবান জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- থানচির তিন্দুর দেপসাপাড়ার জওয়ারাং ত্রিপুরার ছেলে যোহন ত্রিপুরা (২০), রেমাক্রির হামাজন পাড়ার ভাগ্যধন ত্রিপুরার ছেলে জনব্যাক ওরফে ক্যহিন ত্রিপুরা (২২), তিন্দুর অশিজন পাড়ার বাসুমনি ত্রিপুরার ছেলে জসিন ত্রিপুরা (২৫), বলিপাড়ার হালিরাম পাড়ার চন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে জয় বাহাদুর ওরফে জীবন ত্রিপুরা (২৪), আলীকদমের অভিমন কারবারি পাড়ার অভিমন ত্রিপুরার ছেলে জর্জ ত্রিপুরা (২৮), রেমাক্রির হামাজন পাড়ার মিন্টু ত্রিপুরা ছেলে শানি ত্রিপুরা (২০), তিন্দুর হরিশচন্দ্র পাড়ার রুংজমা ত্রিপুরার ছেলে আকাশ ওরফে সালাউ ত্রিপুরা (২২), অশিজন পাড়ার বাসুমনি ত্রিপুরার ছেলে সেনেন্দ্র ত্রিপুরা (২৭), তিন্দুর জ্যোতিপাড়ার বাশিচন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে যোসেফ ত্রিপুরা (২৫) এবং তিন্দুর রুনাজন পাড়ার তুইদুরাং ত্রিপুরার ছেলে শিগরাম ত্রিপুরা (৩৭)।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল থানচির ২৮ কিলো এলাকায় গরু কিনতে গেলে একই দিনে তার ছোট ভাই আবু নাইমকে একটি নম্বর থেকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা পাঠাতে বলা হয়। নাইম টাকা পাঠানোর পর থেকে আবু বক্করের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এ ঘটনায় একই বছরের ১৬ এপ্রিল আবু নাইম বাদী হয়ে থানচি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে পুলিশ-বিজিবি যৌথ অভিযান পরিচালনা করে অসামি যোহন ত্রিপুরাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গরু ব্যবসায়ী আবু বক্করকে হত্যার কথা স্বীকার করেন এবং হত্যায় সহযোগীদের নাম বলে দেন। পরে ১৭ এপ্রিল নিহত আবু বক্করের বড় ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে থানচি থানায় মামলা করেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.