হ্যাটট্রিকের লোভি হইনাই যেন ৪ না হয়ে যায়: তাসকিন

স্কোরবোর্ডে ১৪৪ রানের পুঁজি। দ্বিতীয়ভাগে ম্যাচ জয়ের গুরুদায়িত্বটা বোলারদের কাঁধেই। সেই দায়িত্বে একদম শুরুতেই সফল তাসকিন আহমেদ। নেদারল্যান্ডস ইনিংসের প্রথম ২ বলে ২ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন এই পেসার। প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিকের সুযোগ থাকলেও লোভী হতে চাননি তাসকিন, বরং শৃঙ্খলামেনে বোলিং করার চেষ্টা করেছেন তিনি।

২০০৭ সালের পর বিশ্বকাপের মঞ্চে মূল পর্বে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ১৫ বছর পর লাল-সবুজের দলটির জয়ের পেছনে অন্যতম কারিগর ছিলেন তাসকিন। শুরুতে ২ উইকেট ও শেষে ২ উইকেট নিয়ে ডাচ ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন এই পেসার। শুরুর ২ বলে ২ উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু সেই সুযোগে বাড়তি কিছু করে সফল হওয়ার চেয়ে সহজ থাকতে চেয়েছিলেন তিনি।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলেন, ‘আমার ভাবনা একদম ব্যাসিক ছিল। যেহেতু প্রথম দুইটা বল লেন্থ থেকে সুইং করানোর চেষ্টা করেছি এবং হয়েছেও। বেশি লোভিও হইনাই যেন একটু উপরে করতে গিয়ে ৪ না হয়ে যায়, দলের ক্ষতি হত। ডিসিপ্লিন মেনে করার চেষ্টা করেছি।’

ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনে ইয়র্কার অনুশীলন করলেও ম্যাচে তা খুব বেশি দেখা যায়নি। বিশেষ করে হাসান মাহমুদের ক্ষেত্রে। তাসকিন জানালেন,’আজকের উইকেটে লেংথ বল, হার্ড ব্যাক অফ লেংথ বল, বাউন্সার এগুলা বেশ ভালো হচ্ছিল। এ জন্য ইয়র্কারের চেয়ে লেন্থ বলটাই কাজে আসছিল। আমি-হাসান ইয়র্কার করার চেষ্টা করেছি কিছু বল। কিন্তু লেংথ বল থেকে মুভমেন্ট ও বাড়তি একটু বাউন্স পাচ্ছিলাম। তাই এটাতেই আটকে ছিলাম। একে মাঠের উইকেট একে রকম ব্যবহার করে।’

অনুশীলনে টায়ার দিয়ে ইয়র্কার অনুশীলন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘টায়ার অনুশীলনটা আসলে প্রধান কোচের তৈরি। ইয়র্কার, ওয়াইড ইয়র্কারে উন্নতি করার জন্য। ইয়োর্কারে উন্নতি করতে এই অনুশীলনটা আমরা প্রায়ই করি। ডেথ ওভারে হয়তো আমাদের আগের রেকর্ড ভালো না, কিন্তু আগের চেয়ে ভালো হচ্ছে। চাই সামনে আরও ধারাবাহিক হতে।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.