সরলেন জনসন, প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনাক

আবারও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি দাবি করেছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতি তার থেকে ভালো কেউ সামলাতে পারবেন না। কনসারভেটিভ পার্টি ঠিক করেছে, প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে থাকতে গেলে অন্ততপক্ষে একশজন এমপি-র সমর্থন থাকতে হবে।

জনসনের দাবি, তাকে ১০২জন এমপি সমর্থন করেছেন। যদিও প্রকাশ্যে ৫৭ জন এমপি-ই তাকে সমর্থন জানিয়েছেন। জনসনের বক্তব্য, তিনি উপলব্ধি করেছেন, পার্লামেন্টে যদি সবাইকে পাশে না পান, তাহলে শাসন করাটা অসুবিধাজনক।

এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাকই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে। তাকে ১৪২ জন এমপি সমর্থন জানিয়েছেন। ঋষি ছাড়াও পেনি মরডান্ট প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। ফলে তিনি এখনো পর্যন্ত লড়াইয়ে আছেন। তবে সোমবারের মধ্যে তাকে একশ জন এমপি-র সমর্থন জোগাড় করতে হবে। সেই সমর্থন তিনি জোগাড় করতে না পারলে ঋষিকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ঘোষণা করা হবে। আর তিনি যদি একশজন এমপি-র সমর্থন জোগাড় করতে পারেন, তাহলে দুইজনের মধ্যে ভোটাভুটি হবে।

সুনাক বলেছেন, বরিস জনসন ব্রেক্সিটকে কার্যকর করেছিলেন। তিনি দেশের মানুষকে টিকা দেয়ার কাজও সাফল্যের সঙ্গে করেছিলেন। তিনি সংকটের সময় দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ইউক্রেন ও রাশিয়ার লড়াইয়ে তিনি পুতিনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। জনসন প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ে থাকবেন না বলে ঘোষণা করেছেন। তবে তিনি এখনো জনজীবনে থাকবেন বলে তিনি আশা করেন। কারণ, তার এখনো অনেক কিছু দেয়ার আছে।

এ ছাড়া দল এবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে থাকার জন্য এই মাণদণ্ড তৈরি করেছে। এর ফলে দলে বিভাজন কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। খুব কম সময়ের মধ্যে দুইজন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতা ছাড়তে হওয়ার পর এই মাণদণ্ড তৈরি করা হয়েছে।

এদিকে পার্লামেন্টে মোট ৩৫৭ জন কনসারভেটিভ এমপি আছেন। তাদের মধ্যে ১৪২ জন ইতিমধ্যেই সুনাককে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন। রোববার রাত পর্যন্ত ২৪ জন পেনিকে সমর্থন করার কথা বলেছেন। ফলে পেনিকে এখনো ৭৬ জন এমপি-র সমর্থন জোগাড় করতে হবে। যদি একাধিক প্রার্থী থাকেন, তাহলে অনলাইনে ভোটাভুটি হবে। একজন থাকলে ভোটাভুটিরও আর দরকার পড়বে না। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.