বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারাতো এখন রাস্তায় নামছে। জাতীয় পার্টি কালকে বলছে, তাদেরই রাস্তায়ই নামতে দেওয়া হবে না। আপনারা সাংবাদিকরা অনেকেই জানেন, কিনা করেছে তারা। বাধা কাকে বলে, বিএনপি আমলে পাঁচ বছরে পাঁচ দিনও আমি ওবায়দুল কাদের ঘরে থাকতে পারিনি। ফখরুল সাহেবরা (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) বাসায় আছেন। সবাই ঘরে এসির নিচে আছে।
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেল-১ (এমআরটি লাইন-১)-এর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
‘আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কখনও পালাইনি। তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানই তো পালিয়ে আছে। যেভাবে লাঠি নিয়ে নেমেছে, অগ্নিসন্ত্রাসের আভাস দিচ্ছে, তাতে ফখরুল সাহেবদেরই সেইফ এক্সিট (নিরাপদ রাস্তা) খুঁজতে হবে। ক্ষমতার বদল চাইলে বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে হবে। আওয়ামী লীগের কাছে সেইফ এক্সিট মানে হলো নির্বাচন। ক্ষমতার বদল চাইলে নির্বাচনে আসুন। আমরা প্রস্তুত ভোটে আসেন। জনগণ ভোট না দিলে আমরা নিরাপদ প্রস্থান করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সমাবেশে কয়েক হাজার লোক হলেই বলা হয় লাখ লাখ। চট্টগ্রামে লাখের কাছাকাছি হলেও ময়মানসিংহ ও খুলনাতে এতো লোক হয়নি। মরা গাঙে কিছুটা ঢেউ দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশে জনসমাগম দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি। জনসমাগম কাকে বলে তা দেখতে বিএনপি নেতাদের আওয়ামী লীগের একটা জেলা সমাবেশে আমন্ত্রণ জানান তিনি।
১৩ বছর খরার পর বিএনপির আন্দোলনের ‘মরা গাঙে জোয়ার এসেছে’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনতো খরার মধ্যে ছিল, এখন একটু বৃষ্টি দেখেছে। ১৩ বছরইতো মরা গাঙে জোয়ার আসে নাই, এখন জোয়ার দেখেছে। কিছু ঢেউ দেখতে পাচ্ছে, এটাকেই তারা ভাবছেন লক্ষ লোকের ঢেউ।’
বিএনপির কর্মসূচিতে বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিজেদের অতীত ভুলে যাবেন না। মার খেতে-খেতে আমাদের কী অবস্থা হয়েছে! আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ফুটপাতে একুশে ফেব্রুয়ারির মিটিং পর্যন্ত আমরা করতে পারিনি। বাধা কাকে বলে? বিএনপির কোনও নেতা আজ পর্যন্ত শিকার হয়নি। মোহাম্মদ নাসিম আজকে নাই। কতবার তাকে রাস্তায় পেটানো হয়েছে। মতিয়া চৌধুরীকে পেটানো হয়েছে। একেবারেই সাধারণ একটি সমাবেশে আব্দুস সামাদ আজাদকে রেহাই দেওয়া হয়নি। বিএনপি এখন বাধার কথা বলে।’
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.