রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর প্রধমবারের মতো দেশব্যাপী ব্ল্যাকআউট পড়তে যাচ্ছে ইউক্রেন। চরম বিদ্যুৎ সংকটে পড়েছে দেশটি। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় দেশটির ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দফায় দফায় রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার কারণে শীত শুরু হওয়ার ঠিক আগে কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একজন সহকারি জানিয়েছেন, জনসাধারণ তাদের বিদ্যুতের ব্যবহার না কমালে অস্থায়ী ব্ল্যাকআউট হতে পারে। রাশিয়ার বিমান হামলায় ইউক্রেনের ৩০ শতাংশ পাওয়ার স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশটির সরকারি কর্মকর্তা এবং গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো জানিয়েছে, সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টার মধ্যে দেশব্যাপী বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত করার পাশাপাশি বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
ইউক্রেনের জাতীয় জ্বালানি কোম্পানি সকাল ৭টার মধ্যে নাগরিকদের ‘সবকিছু চার্জ’ করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে পানি মজুদ করার পাশাপাশি ‘পরিবার ও বন্ধুদের জন্য শরীর উষ্ণ রাখতে সহায়তাকারী মোজা এবং কম্বল’ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ইউক্রেনীয়দের কাছে আবেদন করেছে সংস্থাটি।
এদিকে ইউক্রেনের এসব পদক্ষেপের মধ্যেই বুধবার আবারো রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রগুলো দেশটির জ্বালানি কেন্দ্রগুলোতে আঘাত হানে।
এর আগে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছিলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানির অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনারগো বলেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসনের পর থেকে গত আট মাসের তুলনায় গত ১০ দিনে বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে বেশি হামলা হয়েছে।
এদিকে বুধবার রাতের ভিডিও ভাষণে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘রাশিয়ার হামলায় গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শত্রুরা আজ তিনটি বিদ্যুৎ অবকাঠামো ধ্বংস করেছে। আমরা শীতের কথা মাথায় রেখে সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা ধরে নিচ্ছি, মিত্রদের সহায়তায় আমরা শত্রুদের শতভাগ মিসাইল এবং ড্রোন গুলি করে ধ্বংস করবো।এই সক্ষমতা অর্জন না করা পর্যন্ত বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে রাশিয়ার সন্ত্রাস চলতেই থাকবে।’
ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভের মেয়র বলেছেন, রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাওয়ার সাবস্টেশন মেরামত করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে।
অর্থসূচক/এএম/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.