শ্রীরামের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, জানালেন নান্নু

বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে গত কয়েক মাস ধরেই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিশেষ করে টপ অর্ডারে। ওপেনিংয়েতো রীতিমতো ম্যাজিকাল চেয়ারের মতো একের পর এক পরিবর্তন আসছে। যা অব্যাহত ছিল সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজেও। গত অগাস্টে প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি দল থেকে সরিয়ে শ্রীরামকে দায়িত্ব দেয়া হয়। মূলত তিনি দলের টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট হলেও প্রধান কোচের ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশে আসার পর শ্রীরামের প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট ছিল এশিয়া কাপ।

এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের সেই লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় বাংলাদেশ। এরপর আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতলেও ছিল না প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স। আর সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে চার ম্যাচের সবকটিতেই হেরেছে বাংলাদেশ। শ্রীরামের আমলে বাংলাদেশ যে কয়টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে সেখানে বেশিরভাগ ম্যাচেই ক্রিকেটারদের নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন এই ভারতীয় কোচ। শেষ ম্যাচেও টপ অর্ডারে দেখা গেছে নতুন ব্যাটিং লাইনআপ। তবে বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে পরিকল্পনা স্থির থাকতে চায় টিম ম্যানেজমেন্ট।

তবে এবার বন্ধ হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টের এই পরীক্ষা-নিরীক্ষা, এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। তিনি বলেন, ‘যত পরীক্ষা করা হয়েছে, আগেই করা হয়েছে। এখানে নতুন করে কিছু করা হবে না। সম্ভাব্য সেরা খেলাটা যদি আমরা খেলতে পারি, সেই জিনিসটা চিন্তা করে মাঠে সেরা ১১ জন নামানো হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের। তবে বিগ ব্যাশের সুবাদে এখানে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ অধিনায়কের এই অভিজ্ঞতা তরুণহ ক্রিকেটারদের জন্য বাড়তি পাওয়া।

বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এখানে যারা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন, অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তারা সেসব শেয়ার করছেন নতুন ও তরুণ ক্রিকেটাদের প্রস্তুত করার জন্য। আমি বলবো, সবাই সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে সেরাটা দেয়ার জন্য।’

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.