আবারও বাড়ি ছেড়েছেন মরিয়মের মা

খুলনার বহুল আলোচিত রহিমা বেগম আবারও স্বেচ্ছায় বাড়ি ছেড়েছেন। চলে গেছেন অজ্ঞাত স্থানে। তবে এবার আর তার সন্তানরা কেউ খোঁজাখুঁজি করছেন না। এদিকে রহিমা বেগম প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এর আগেরবার স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন বলে তার ছেলে মো. মিরাজ আল সাদী সোমবার (১৭ অক্টোবর) আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান জানান, তার মা রহিমা বেগম খুলনা নগরীর বয়রা এলাকায় তার বোন আদুরি খাতুনসহ আরেক বোনকে নিয়ে থাকতেন। সেখান থেকে তিনি দুই দিন আগে চলে গেছেন। বিষয়টি রোববার আদুরি তাকে ফোনে জানিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় তারা কোনো জিডি বা মামলা করেননি। এছাড়া তাকে আর খুঁজবেন না বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আদালত রহিমা বেগমকে তার মেয়ে ও মামলার বাদী আদুরির জিম্মায় দিয়েছিলেন। ফলে রহিমা বেগম কোথায় আছেন তা তাদের দেখার বিষয় নয়।

এদিকে, রহিমা বেগমের ছেলে মো. মিরাজ আল সাদী সোমবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে যান। সেখানে তিনি সাক্ষী হিসেবে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হন। এরপর পিবিআই তাকে আদালতে নিয়ে গেলে তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন।

পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, সাদী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন যে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তার মা রহিমা বেগম স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেন। এ মামলায় যাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা কেউ অপহরণ করেনি। গত ২৭ আগস্ট তার মা ‘নিখোঁজ’ হওয়ার খবর শুনে তিনি গিয়ে তাদেরকে এলাকাতেই দেখতে পান।

রহিমা বেগমের ছেলে সাদী বলেন, তার কাছে ঘটনাটি অপহরণ বলে মনে হয়নি। সে বিষয়টি তিনি আদালতে জবানবন্দিতে বলেছেন। তবে এ ব্যাপারে আদুরির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ আগস্ট খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাসা থেকে রহিমা বেগম ‘নিখোঁজ’ হন। এ ঘটনায় ওই রাতে তার ছেলে সাদী দৌলতপুর থানায় জিডি করেন। পরদিন তার মেয়ে আদুরি বাদী হয়ে অপহরণ মামলা করেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা পুলিশ ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে থাকা রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে। পরদিন রহিমা বেগম তাকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.