প্রথম দশ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তুলেছিল নামিবিয়া। সেখান থেকে জান ফ্রাইলিঙ্ক এবং জেজে স্মিথের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শেষ ১০ ওভারে আরও ১০৪ রান যোগ করে তারা।
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই ধুকেছে শ্রীলঙ্কা। বেন শিকোংগোর করা চতুর্থ ওভারে পরপর দুই বলে সাজঘরে ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা এবং দানুশকা গুনাথিলাকা। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৫ রানের জয়ে সুপার টুয়েলভে এক পা দিয়ে রাখলো নামিবিয়া। আর আইসিসির এই সহযোগী দেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো এশিয়ার চ্যাম্পিয়নরা।
এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়নরা বিশ্বকাপে এতটাই বিবর্ণ যে ১০০ পার করেই শেষ। ৫৫ রানে জিতে নামিবিয়া চমকে দিলো বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই। গতবার এই শ্রীলঙ্কার কাছে প্রথম রাউন্ডে হারার পর নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে পেয়েছিল সুপার টুয়েলভের টিকিট। দ্বিতীয় আসরে তারা লঙ্কানদের হারিয়েই আবারও পরের ধাপে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলো শক্তভাবে।
৯৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা নামিবিয়া ঘুরে দাঁড়ায় সপ্তম উইকেটে। ইনিংসের শেষ বলে যখন ফ্রাইলিংক রান আউট, তখন স্কোর ১৬৩। ৩৪ বলে তাদের ৭০ রানের জুটি শ্রীলঙ্কাকে এতটাই ভড়কে দিয়েছিল যে, আর মাথা উঁচু করতে পারেনি। দলের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ৪০ রানেই বিদায় নেন। কুশল মেন্ডিসকে ডেভিড উইজ প্যাভিলিয়নে পাঠান। বড় আঘাত লাগে চতুর্থ ওভারে, বেন শিকোঙ্গো পরপর দুই উইকেট তুলে নেন। পাওয়ার প্লের পর প্রথম ওভারে ৪০ রানে নেই চতুর্থ উইকেট।
তারপরও ভানুকা রাজাপাকসা ও দাসুন শানাকার ব্যাটে হারানো ছন্দ ফিরে পেতে চেষ্টা করেছিল শ্রীলঙ্কা। ১০ ওভারে রান ৪ উইকেটে ৭২। আর বেশিক্ষণ দাঁড়ালো না তাদের জুটি। ৩৪ রানের জুটি ভাঙার পর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো ব্যাটিং লাইনের বাকি অংশ।
৪ উইকেটের বিনিময়ে ৭৪ রান করা দলটির ৯২ রানেই নেই ৯ উইকেট। মাহিশ ঠিকশানার ব্যাটে কোনোরকমে একশ পার করে তারা। ১৯তম ওভারের শেষ বলে দুষ্মন্ত চামিরাকে (৮) বিদায় করে শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেন ডেভিড উইজ। উইজের সঙ্গে সমান দুটি করে উইকেট পান বার্নার্ড স্কল্টজ, বেন শিকোঙ্গো ও জ্যান ফ্রাইলিংক।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.