নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে ওয়ার্নারের

ডেভিড ওয়ার্নারের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে আগামী ১৪ অক্টোবর সভায় বসতে যাচ্ছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। নিষেধাজ্ঞা ওঠানোর পর ওয়ার্নারকে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেবে সিএ। এমনটা নিশ্চিত করেছে সিএ চেয়ারম্যান লাচলান হেন্ডারসন।

২০১৮ সালে বল বিকৃতি কান্ডে জড়িয়ে অধিনায়কত্বে নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন সেই সময়ের অস্ট্রেলিয়া দলের অধিনায়ক স্মিথ এবং সহ-অধিনায়ক ওয়ার্নার। এমন ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এক বছর না খেলতে পারার পাশাপাশি নেতৃত্ব থেকে আজীবনের নিষেধাজ্ঞা পান ওয়ার্নার। তারপর বিভিন্ন সময়ে এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার ব্যাপারে মিডিয়ার সামনে আশাবাদী হতে দেখা গেছে ওয়ার্নারকে। বর্তমানে অ্যারন ফিঞ্চ অবসর নেয়ায় অস্ট্রেলিয়ার অনেক কিংবদন্তি ক্রিকেটারও ওয়ার্নারকে পরবর্তী ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে চান।

হেন্ডারসন বলেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া লক্ষ্য করছে, ডেভিড মাঠে ভালো করছে এবং মাঠের বাইরেও দারুণ অবদান রাখছে। ডেভিডের নেতৃত্বের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে প্রধান কাজ হচ্ছে সেই ধারা (সে ধারায় ওয়ার্নার নিষিদ্ধ হন) পুনরায় খতিয়ে দেখা। সেটা ভালোভাবে খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই ধারা যত দ্রুত সম্ভব সেটা কাগজে-কলমে খতিয়ে দেখা। এটায় কোনও বিলম্ব হওয়া উচিত না। তারপর আমরা ডেভিডের সঙ্গে নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করতে পারব।’

একই সময়ে সিএ’র প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেন, ‘খুব সহজ শর্তে, আমরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর ভালো আচরণ এবং সমৃদ্ধির জন্য নিষেধাজ্ঞাগুলো পর্যালোচনা করার জন্য দেখছি। আগামীকালের সভায় আমরা এটা পর্যালোচনা করব এবং সেটা পরবর্তীতে বোর্ড অনুমোদন দেবে।’

নেতৃত্ব থেকে ওয়ার্নার আজীবন নিষেধাজ্ঞা পেলেও স্টিভ স্মিথ মাত্র দুই বছরের সাজা পান। যেটা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সহ-অধিনায়কত্বও পান তিনি। এমনকি শেষবারের অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স যখন করোনা আক্রান্ত হন, তখন অ্যাডিলেড টেস্ট নেতৃত্ব দেন স্মিথ। বর্তমান সময়ে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে অধিনায়ক হতে চান না প্যাট কামিন্স, স্মিথ আর মিচেল মার্শরা। কেবল ওয়ার্নারই এখন পর্যন্ত বলেছেন অস্ট্রেলিয়াকে পুনরায় নেতৃত্ব দিতে পারলে সম্মানিত বোধ করবেন তিনি।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.