আগামী বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমবে, বাড়বে মূল্যস্ফীতি: আইএমএফ

আগামী বছর বাংলাদেশের জিডিপি কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এছাড়া মূল্যস্ফীতি বাড়তে পারে বলেও এক পূর্ভাবাস দিয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার অক্টোবর মাসের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইএমএফ। প্রতিবেদনটিতে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সংস্থাটি প্রতিবেদনে জানায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে ৬ শতাংশ হতে পারে। এছাড়া আগামী বছর মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। অপরদিকে চলতি বছর বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হতে পারে। এ ছাড়া ২০২৭ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।

এছাড়া আগামী বছর বড় অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশের প্রবৃদ্ধি কমার পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।

অপরদিকে ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের প্রবৃদ্ধিও কমতে পারে বলে জানিয়েছে আইএমএফ। তবে আফগানিস্তান ও ইউক্রেন সম্পর্কে ২০২৩ সালের জন্য কোনো পূর্বাভাস দেয়নি সংস্থাটি। তবে চলতি বছর ইউক্রেনে ৩৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

করোনার প্রভাব, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ ইত্যাদি কারণে বৈশ্বিক জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমছে। আইএমএফ বলেছে, চলতি বছর বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, যা আগামী বছর কমে ২ দশমিক ৭ শতাংশে নামতে পারে। ২০২১ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ শতাংশ।

জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মূল্যস্ফীতি সম্পর্কেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে আইএমএফের সদ্য প্রকাশিত ইকোনমিক আউটলুকে। এ–সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, যা চলতি বছর বেড়ে ৮ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ দাঁড়াবে।

বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির সম্পর্কে আইএমএফ বলছে, গত দুই বছর মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি বছরে তা ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। তবে ২০২৩ সালে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। আর সেটি হলে গত দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হবে আগামী বছর। তবে ২০২৭ সালে মূল্যস্ফীতি কমে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে আইএমএফ মনে করে।

এ ছাড়া গত বছরের তুলনায় চলতি বছর দেশে চলতি হিসাবের ঘাটতি বেড়ে জিডিপির ৪ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছে আইএমএফ। তবে আগামী বছর এই ঘাটতি কিছুটা কমে ৩ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।

অর্থসূচক/এমএইচ/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.