গ্যাস সংকট মোকাবিলায় সিএনজি স্টেশনগুলো আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ রাখতে চায় সরকার। মঙ্গলবার সিএনজি স্টেশন মালিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস কোম্পানি পেট্রোবাংলার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কবে থেকে ও কয়টা থেকে কয়টা পর্যন্ত সরবরাহ বন্ধ থাকবে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।
গত ১ মার্চের আগে পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা গ্যাস বিক্রি বন্ধ ছিল। এরপর ১ মার্চ থেকে সিএনজি স্টেশনগুলো সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা করে বন্ধ রাখা হচ্ছে। এখন এর সাথে আরও দুই ঘণ্টা যুক্ত হলে দিনে মোট ৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সিএনজি স্টেশনগুলো।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, আরও দুই ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সরকারি এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলে এতে একমত হতে পারেননি স্টেশন মালিকরা। তাদের দাবি, গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকার পাশাপাশি লোডশেডিংসহ নানা কারণে স্টেশনগুলো এমনিতেই নানা সমস্যায় আছে। এর মধ্যে গ্যাস সরবরাহ আরও দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকলে ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা।
বৈঠকে উপস্থিত সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ফারহান নূর জানান, সিএনজি স্টেশনগুলো বর্তমানে মোট সরবরাহ করা গ্যাসের মাত্র ৩ শতাংশ ব্যবহার করে, কিন্তু দাম দেয় সর্বোচ্চ। এই অল্প গ্যাসে রেশনিং বাড়িয়ে খুব বেশি লাভ হবে না। বরং গাড়িতে তেল ব্যবহারের পরিমাণ বাড়বে যা দেশের পরিবেশ ও অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমান গ্যাসের চাহিদা ৪২০ কোটি ঘনফুট। এরমধ্যে পেট্রোবাংলা সরবরাহ করছে ২৬৭ কোটি ঘনফুট। আর এলএনজি থেকে আসছে ৩৮ কোটি ঘনফুট।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.