গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন বন্ধ ঘোষণা

নানা অনিয়ম ও জালিয়াতিসহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার পর প্রেস বিফ্রিং এ সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এই তথ্য জানান।

সিইসি বলেন, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ আর সম্ভব হচ্ছে না বলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রদত্ত ক্ষমতা বলে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কমিশন।

এর আগে উপনির্বাচনে প্রকাশ্যে অনিয়ম হয়েছে বলে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গোপন কক্ষে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে আমরা স্বচক্ষে দেখেছি। মূল অ্যাকশন হিসেবে আমরা কেন্দ্র বন্ধ করেছি। এখন চাকরিবিধি অনুযায়ী বা অন্য বিধি অনুযায়ী কী অ্যাকশন নেবো তা পরবর্তীতে দেখবো। আমরা টেলিফোনে এসপি, ডিসি, রিটার্নিং অফিসারকে বলেছি, আমরা এখান থেকে সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেয়েছি। তাই সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গত ২৪ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ১৫৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে ইভিএমের মাধ্যমে। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। নির্বাচনী এলাকার ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ২টি এবং প্রতিটি ভোটকক্ষের ভিতর (গোপন বুথের দৃশ্য ব্যতীত) ৯৫২টি সব মিলিয়ে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।

এ আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.