ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের (আরবিআই) ডিজিটাল মুদ্রা ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়। এবার দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, শিগগিরই পরীক্ষামূলক (পাইলট প্রকল্প) ‘ই-রুপি’ চালু করা হবে।
আরবিআই বলছে, প্রাথমিকভাবে শুধু বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ওই মুদ্রা ব্যবহার করা যাবে। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ এবং সুরক্ষিত করে গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য। সেই সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা ঠেকানো।
এর আগে ভারতের অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ভারতে ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে গণ্য হবে না। ওই সুযোগ পাবে শুধু সেন্ট্রাল ব্যাংক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি)। ভবিষ্যতে যা আনার দায়িত্ব রিজার্ভ ব্যাংকের।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) প্রকাশিত খসড়া পত্রে ভারতের ডিজিটাল টাকা বা ‘ই-রুপি’-র ব্যাখ্যা দিয়ে আরবিআই জানিয়েছে, খসড়া আনার উদ্দেশ্য এ ব্যাপারে সচেতনতা তৈরি। বর্তমান অর্থ ব্যবস্থায় চালু থাকা সাধারণ মুদ্রার বিকল্প আনা তাদের উদ্দেশ্য নয়। বরং ডিজিটাল টাকাকে সাধারণ নোটের পরিপূরক করে তোলার চেষ্টা চলছে। যাতে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত একটি ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যায়। যার সুবিধা নিতে পারবে সবাই। নিশ্চিত করা হবে ব্যবস্থাটি যাতে নিরাপদ, দক্ষ, সহজ হওয়ার পাশাপাশি খরচ সাপেক্ষ না হয়। এর মাধ্যমে আরও বেশি মানুষকে সংগঠিত আর্থিক পরিষেবার আওতায় আনা এবং জালিয়াতি নিয়ন্ত্রণ করাও তাদের লক্ষ্য বলে জানিয়েছে আরবিআই।
অতীতে ক্রিপ্টো নিয়ে শতর্ক করে আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ, বেআইনি আর্থিক লেনদেন, ড্রাগ কেনাবেচার মতো ঘটনায় ব্যবহার করা ছাড়াও দেশের আর্থিক ব্যবস্থার ক্ষেত্রে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে এই মুদ্রা। ক্রিপ্টোকে সম্পদ অ্যাখ্যা দিয়ে তাতে কর বসিয়েছে ভারত সরকার।
এছাড়াও তিনি বলেন, বিশ্ব মঞ্চে এগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ন্ত্রণ আরোপের কথাও বলেছেন নির্মলা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের ই-রুপি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। একাংশের দাবি, এটা ভবিষ্যতে ভারতের আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থার নকশাই বদলে দিতে পারে।
অর্থসূচক/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.