উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

উত্তর কোরিয়ার একদিন পর এবার দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করলো। সি অফ জাপানে তারা এই পরীক্ষা করেছে। এর আগে মঙ্গলবার তাদের সবচেয়ে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। জাপান ছাড়িয়ে তা সমুদ্রে গিয়ে পড়ে। তাদের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার জন্য জাপানে অনেক মানুষকে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এই পরীক্ষা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছিল।

এরপরেই বুধবার সি অফ জাপানে দুইটি করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। এটা হলো উত্তর কোরিয়াকে জবাব দেওয়া। দুই দেশই কম পাল্লার ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্রের প্রতিক্রিয়ায় তারা ওই মিসাইল ছুঁড়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আগেই জানিয়েছিলেন, তারা কড়া জবাব দেবেন।

তবে দক্ষিণ কোরিয়া যে আলাদাভাবে হাইয়ুনমু-২ ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছিল, তা একটু পরেই ভেঙে পড়ে যায়। এর ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

একমাস আগেই এই অঞ্চলে অন্যতম বড় যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা। তারপরেই একগুচ্ছ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবারও যৌথ মহড়ার অংশ হিসাবে দক্ষিণ কোরিয়া এফ ১৫কে যুদ্ধবিমান থেকে জনমানবগহীন ইয়েলো সি আইল্যান্ডে দুইটি বোমা ফেলে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, এই যৌথ মহড়া থেকে প্রমাণিত হলো, উসকানি দেয়া হলে, একেবারে ঠিক লক্ষ্যে বোমা ফেলার ক্ষমতা দক্ষিণ কোরিয়ার আছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.