কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ট্রলারডুবির ঘটনায় তিন রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন রোহিঙ্গা নারী, ৩৩ জন পুরুষ ও চার জন বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে টেকনাফের বাহারছড়ার শীলখালী এলাকা থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ও কোস্টগার্ড বাহিনী।
বাহারছড়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নুর মোহাম্মদ জানান, সাগরপথে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবির ঘটনায় ভেসে আসা তিন নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের নাম জানা যায়নি। এ ঘটনায় ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ট্রলারডুবির ঘটনায় বেঁচে ফেরা টেকনাফের শালবনের বাসিন্দা রোকসা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় রয়েছে। তার কাছে যাওয়ার জন্য সাগরপথ পাড়ি দিচ্ছিলাম। যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগেও যাত্রা করে ব্যর্থ হয়েছিলাম। ট্রলারে আরও অনেক নারী ও শিশু ছিল। তাদের মরদেহ সাগরে ভাসতে দেখেছি।’
বাহারছড়া কোস্ট গার্ড স্টেশনের কনটিজেন্ট কমান্ডার দেলোয়ার হোসেন জানান, গতকাল রাতে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে কয়েকজন দালাল রোহিঙ্গাদের নিয়ে অবৈধভাবে সাগরপথে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু বাহারছড়া উপকূলে এসে ট্রলারটি ডুবে যায়। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি চার জন। তারা মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। বাকিরা কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।
উদ্ধার রোহিঙ্গাদের কয়েকজন বলছেন, মালয়েশিয়ার যাওয়ার উদ্দেশ্যে গতরাতে ট্রলারে ওঠেন তারা। ট্রলারে প্রায় ৮৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬৫ জন রোহিঙ্গা।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.