মানকাডিং নিয়ে টুইটারে হার্শা-স্টোকসের বাকযুদ্ধ

গত কয়েক দিন ধরেই ক্রিকেট পাড়ার হট টপিক এ পরিণত হয়েছে মানকাডিং বিতর্ক। ইংল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে ভারত নারী দলের এমন কান্ডের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে রীতিমত ঝড় বইছে। এবার সেই ঝড়ে বাকযুদ্ধে নেমেছেন হার্শ ভোগলে এবং বেন স্টোকস।

ঘটনার শুরু লর্ডসে। ইংল্যান্ড-ভারত নারী দলের ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে। ৪৪তম ওভারে দীপ্তি শর্মা তৃতীয় বলটি করার সময় থেমে যান, এরপর ভেঙে দেন নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প। তখন চার্লি ডিন ক্রিজের বেশ বাইরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অর্থাৎ ৪৭ রানে ব্যাট করা ডিন মানকাডিংয়ের শিকার হন।

শুক্রবার রাতে এ নিয়ে টুইট করেছেন হার্শা। ভারতীয় এই ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার লেখেন, ‘এটা সংস্কৃতির বিষয়। ব্রিটিশরা এভাবে আউট করাকে ভুল মনে করে। আর তারা যেহেতু বেশির ভাগ ক্রিকেট খেলুড়ে দেশকে শাসন করেছে, তাই সবাইকে বলেছে এমন করাটা ভুল। তাদের ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব এতটাই শক্তিশালী ছিল, কেউ আর পাল্টা প্রশ্ন করেনি।’

হার্শার এমন টুইট ভালো লাগেনি স্টোকসের। ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার টুইটে লেখেন, ‘এটা সংস্কৃতির বিষয়? অবশ্যই নয়। কারণ, শুধু ইংল্যান্ডের নয়, অন্য দেশের লোকেরাও এ নিয়ে কথা বলেছে।’

এর আগে গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে দৌঁড়ে রান নেয়ার সময়, স্টোকসের গায়ে লেগে বল সীমানার বাইরে চলে যায়। আর এ নিয়েও অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। এ নিয়ে এখনও স্টোকসের অনেক কথা শুনতে হয়, যার বেশির ভাগই আসে ভারতীয়দের কাছ থেকে।

হার্শাকে সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন স্টোকসক। তিনি লেখেন, ‘২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়েছে দুই বছর আগে। আজকের দিনেও অসংখ্য বার্তা এ নিয়ে আমি পাই। এর বেশির ভাগই আসে ভারতীয় দর্শকদের থেকে। হার্শা, এটা কি আপনাকে বিরক্ত করে না?’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.