বিতর্কিত অ্যাজব যোদ্ধাদের মুক্তি দিল রাশিয়া

তুরস্কের মধ্যস্থতায় ২১৫ জন ইউক্রেনের বন্দিকে ছেড়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন ছেড়েছে ৫৫ জন রাশিয়ার বন্দিকে। মারিউপলের স্টিল কারখানা থেকে লড়াই চালাচ্ছিল অ্যাজব যোদ্ধারা। দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর জাতিসংঘ এবং তুরস্কের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয় এবং অ্যাজব যোদ্ধাদের বন্দি করে রাশিয়া। হাজারখানেক অ্যাজব যোদ্ধাকে রাশিয়া বন্দি করেছে বলে দাবি করেছিল ইউক্রেন।

বুধবার তাদের মধ্য থেকে শ-দুয়েক যোদ্ধাকে রাশিয়া মুক্তি দিয়েছে বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। পরিবর্তে ইউক্রেনও রাশিয়ার ৫৫ জন যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। যার মধ্যে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ভিক্টর মেডভেডচুকও আছেন। গত এপ্রিলে দেশদ্রোহের অভিযোগে ইউক্রেন তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। ইউক্রেনে ভিক্টরকে পুটিনের অন্যতম ডানহাত বলে চিহ্নিত করা হয়।

বন্দিপ্রত্যার্পণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মঞ্চে আবেদন জানাচ্ছিল ইউক্রেন। অবশেষে তা সম্ভব হলো। তুরস্ক এবং সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় একাজ সম্ভব হয়েছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্সির চিফ অফ স্টাফ টেলিভিশনে এই ঘোষণা দিয়েছেন। সেখানে প্রকাশ্যেই তিনি তুরস্ক এবং সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পরে টুইট করেও সেই একই কথা বলেছেন তিনি।

ইউক্রেনের অ্যাজব যোদ্ধাদের নিয়ে দীর্ঘ বিতর্ক আছে। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়ার যুদ্ধের সময় অ্যাজবদের উত্থান বলে মনে করা হয়। অতি জাতীয়তাবাদী দক্ষিণপন্থি এই যোদ্ধাদেরই পুতিন নিও নাৎসি বলে চিহ্নিত করেছিলেন। ইউক্রেন অবশ্য জানিয়েছে, অ্যাজব যোদ্ধারা ইউক্রেন সেনাবাহিনীর অংশ। তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মানতে চাননি জেলেনস্কি। রাশিয়া ইতিমধ্যেই বেশ কিছু অ্যাজব যোদ্ধার বিচার শুরু করেছে। তারই মধ্যে তাদের মুক্তি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

এদিকে মার্কিন হোয়াইট হাউসও তুরস্ক এবং সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। কারণ, মুক্তি পাওয়া যোদ্ধাদের মধ্যে দুইজন মার্কিন নাগরিক আছে। তারাও মারিউপল থেকেই আটক হয়েছিলেন। মুক্তি পাওয়া সেনারা তুরস্কে আছেন বলে ইউক্রেন জানিয়েছে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.