মধ্য এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশ কিরঘিজস্তান ও তাজিকিস্তানের সীমান্তে সংঘর্ষ চলছেই। দুই দেশই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করেছে। রোববার ফের সীমান্তে সংঘর্ষে নিহতদের তালিকা প্রকাশ করেছে।
কিরঘিজস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, সাম্প্রতিক সংঘর্ষে ৩৬ জন মারা গেছেন, আহত ১৩০ জনেরও বেশি।
কিরঘিজ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা এক লাখ ৩৭ হাজার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গেছেন। সোমবারের দিনটা তারা শোকদিবস হিসাবে পালন করবেন।
তাজিকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অন্ততপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে নারী ও শিশুও আছে। শনিবারও সংঘর্ষ হয়েছে। তাতেও মানুষ মারা গেছে। তবে কতজন মারা গেছেন, সেই সংখ্যা তারা জানায়নি।
শুরু থেকে দুই পক্ষই ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের সীমান্তচৌকি ও আবাসিক এলাকায় আক্রমণ চালায়। গত শুক্রবার দুই দেশ অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়। কিন্তু শনিবার থেকে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। দুই দেশের সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিয়ে সমস্যা আছে। তাই প্রায়ই তাদের মধ্যে ছোটখাট সংঘর্ষ হয়। আবার দ্রুত তা মিটেও যায়।
শনিবার সংঘর্ষ হলেও অস্ত্রবিরতির সমঝোতা মোটামুটি কাজ করছে। রোববার সীমান্ত শান্ত ছিল বলে কিরঘিজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। দিনে সংঘর্ষ হলেও রাতে আর নতুন করে কোনো ঝামেলা হয়নি।
দুই দেশই আগে সোভিয়েত ইউনিয়নে ছিল এবং এখন রাশিয়ার বন্ধু দেশ। দুই দেশের কাছেই রাশিার প্রেসিডেন্ট পুটিন অনুরোধ করেছেন, তারা যেন শান্ত থাকে। পুটিন কিরঘিজের প্রেসিডেন্ট ও তাজিকিস্তানের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুই দেশের নেতাকে পুটিন বলেছেন, তারা যেন নতুন করে উত্তেজনা না বাড়ান। সংষত থাকেন ও রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেন। সূত্র: ডিডাব্লিউ, এপি, এএফপি, রয়টার্স
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.