বিদায় জানাতে চেয়েছিল বিসিবি, রাজি হয়নি মাহমুদউল্লাহ

মাহমুদউল্লাহকে ছাড়াই গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে বিসিবি। ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে আগামী দিনের পরিকল্পনায় রাখতে নারাজ জাতীয় দলের টেকনিক্যাল কনসাল্টেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম। শ্রীরামের সঙ্গে একমত হয়েছেন গোটা টিম ম্যানেজমেন্টও।

এ কারণে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের পক্ষ থেকে মাহমুদউল্লাহকে সঠিকভাবে বিদায় দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কেননা নিকট অতীতে টি-টোয়েন্টি থেকে ঠিকভাবে বিদায় নেননি আরও দুই সিনিয়র ক্রিকেটার। কিন্তু দেশের হয়ে আরও অন্তত দুই বছর টি-টোয়েন্টি খেলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মাহমুদউল্লাহ এখনই অবসরে যেতে রাজি হননি। গণমাধ্যম ক্রিকবাজ প্রকাশ করেছে এমনই এক সংবাদ।

গত কয়েকমাসের মধ্যেই তামিম ইকবাল এবং মুশফিকুর রহিম দুজনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। এ কারণে মাহমুদউল্লাহকে বিদায় দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকুই করেছে বিসিবি। পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের দলে মাহমুদউল্লাহকে রেখে, এই সিরিজেই তাকে বিদায় জানাতে চেয়েছিল বিসিবি। ক্রিকবাজকে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘মাহমুদউল্লাহ এই বিষয়ে রাজি হয়নি। সে এখনই বিদায় নিতে চায় না। সে জানিয়েছে যে সে আরও দুই বছরের মতো খেলতে চায়। জাতীয় দলে তার জায়গা ফিরে পেতে চায়।’

দল ঘোষণার আগের দিন মাঠ থেকে মাহমুদউল্লাহকে বিদায় দেয়ার ব্যাপারে পাপন বলেছিলেন, ‘যদি তার (টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট) অবসর নিতেই হয় বা তাকে স্কোয়াডে সুযোগ দিতে না পারি তাহলে অবশ্যই তাকে অন্তত এতটুকু সু্যোগ (মাঠ থেকে অবসর নেয়ার) দেয়া উচিত। এইটুকু সম্মান দেয়া উচিত। কারণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বহু ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের।’

১৫ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের হয়ে ১২১ ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ২৩.৫৭ গড়ে বাংলাদেশের সাবেক টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের রান ২ হাজার ১২২। তবে মাহমুদউল্লাহ যে পজিশনে ব্যাটিং করেন সেখানে গড়ের চেয়ে স্ট্রাইক রেটটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেখানেও বিবর্ণ তিনি। ফিনিশার হিসেবে খেলা মাহমুদউল্লাহ রান তুলেছেন ১১৭.৩০ স্ট্রাইক রেটে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.